এক পাশে অতীশ দীপঙ্কর সড়ক আর আরেক পাশে কমলাপুর আউটার সার্কুলার রোড। মাঝে টিটি পাড়ার লেভেল ক্রসিং যা দুই পাশে চলাচলকারী কয়েক লাখ মানুষের কাছে ছিল দুর্ভোগের আরেক নাম। তবে এবার থেকে আর দুর্ভোগে পড়বেন না জনসাধারণ। টিটিপাড়ায় নির্মিত ছয় লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন করা হয়েছে। জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পর শুরু হয়েছে যান চলাচলও। এই আন্ডারপাস চালুর ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হলো।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে আন্ডারপাসটি উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লে. জে. অব. আব্দুল হাফিজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরেক বিশেষ সহকারী শেখ মইন উদ্দিন।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, পথচারী, সাইকেল ও রিকশার জন্য আলাদা লেনের সুবিধাসম্পন্ন এটি ঢাকা শহরের প্রথম রেলওয়ে আন্ডারপাস। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই আন্ডারপাসটির দৈর্ঘ্য ৩৩৮ মিটার এবং চওড়া ৩১ মিটার। চারটি লেন মোটরচালিত যানবাহনের জন্য (বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ)। দুটি আলাদা লেন রিকশা, ভ্যান ও সাইকেলের মতো নন-মোটরচালিত বাহনের জন্য। পথচারীদের হাঁটার জন্য রয়েছে ফুটপাথ।
স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, মাত্র আধা কিলোমিটার পথ পেরোতেই কখনো কখনো এক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগে যেত। যানজট এড়াতে অনেকেই খিলগাঁও বা গোলাপবাগ হয়ে দীর্ঘ পথ ঘুরে যাতায়াত করতে। আন্ডারপাসটি না থাকায় টিটিপাড়া রেল ক্রসিংয়ে ট্রেন আসা-যাওয়ার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতো।
এটি খুলে দেওয়ার মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হচ্ছে এবং মতিঝিলের সঙ্গে মুগদা, মান্ডা, মানিকনগর ও সবুজবাগ এলাকার সংযোগ সড়কে ট্রেনের সিগনালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হবে না আর।
আবার কেউ কেউ এই স্থাপনার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ যেন হয় সেই দিকে নজর রাখার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিকভাবেই রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে আন্ডারপাসটির। তবে কমলাপুরে মেট্রোরেলের স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্ডারপাসের শতভাগ সুফল পেতে সময় লাগবে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন