বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মো. আতাউল গনি ওসমানী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫, ১১:৪২ এএম

ভাতের থালায় ভ্যাটের চাপ

মো. আতাউল গনি ওসমানী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫, ১১:৪২ এএম

ভাতের থালায় ভ্যাটের চাপ

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ ২৭২ বছর আগে ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর করেছেন এই প্রার্থনা। তার ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে দেবী অন্নপূর্ণা আশীর্বাদ দিতে চাইলেন নদীর মাঝি ঈশ্বরী পাটনিকে। দরিদ্র মাঝি নিজের জন্য কিছু চাননি, খোঁজেননি বিত্তবৈভব। চেয়েছেন শুধু তার সন্তান যেন খেয়ে-পরে ভালোভাবে বেঁচে থাকে। 

আজও দরিদ্রপীড়িত খেটে খাওয়া মানুষের একমাত্র চাওয়া তিনবেলা খাবার জোগাড় করা। আর যদি পরিবারের জন্য আরেকটু ভালো বাজার করতে পারে তাতেই তাদের মনে প্রশান্তি। অথচ এইটুকু চাওয়া পূরণ করতে গিয়েই আজ তাদের নিরন্তর সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমরা সবাই জানি যে বিগত সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থপাচার এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির টাল-মাটাল অবস্থার কারণে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো চরম তারল্য সংকটে পড়েছে। 

সম্প্রতি রিজার্ভ ঘাটতি পূরণের জন্য ও আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ করেছে সরকার। তার জন্য আবার আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী রাজস্ব আয় বাড়ানোর একটি বাড়তি চাপ রয়েছে। 

এখন সরকার এই রাজস্ব ঘাটতি বা দাতাগোষ্ঠীর ঋণের চাপ সামলানোর জন্য অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রীর ওপর বাড়তি ভ্যাট আরোপ করছে, যেসব দ্রব্যসামগ্রীর বেশিরভাগই আবার নিত্যপ্রয়োজনীয়। ফলে এই নতুন ভ্যাটনীতি কয়েক বছর ধরে চলমান ক্রমাগত মূল্যস্ফীতিকে আরেক দফা চাঙা করেছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে, কারণ এই বাড়তি ভ্যাটের অর্থ শেষমেশ সাধারণ ভোক্তাদের ঘাড়েই পতিত হয়।

কিন্তু সরকার কি একবারও  ভেবে দেখল না এই রাজস্ব ঘাটতির দায় সাধারণ মানুষকে কেন নিতে হবে? সাম্প্রতিক ভ্যাট-ট্যাক্স হয়তো বিত্তবানের জন্য বড় সমস্যা হবে না। কিন্তু নীতি-নির্ধারকেরা কি ভুলে গেছেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনো নিম্ন-মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীন? নিয়মনীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে তারা কি এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কথা বেমালুম ভুলে থাকেন?

ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির চাপ চলমান থাকলেও হঠাৎ অন্যদিকে পরিলক্ষিত হচ্ছে কৃষিদ্রব্যের মূল্য হ্রাস যাকে আমরা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাঁচি সংকটের স্মারক বলে বিবেচনা করতে পারি। 

এমতাবস্থায় গ্রামের কৃষক শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় শিল্পপণ্য ক্রয়ের ক্ষমতা হারাচ্ছে, আধুনিক জীবন যাত্রার ধারার বাইরে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। এরমধ্যে, সরকারের শুল্ক-কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা! দরিদ্র পরিবারে আয়ের বড় অংশই ব্যয় হয় খাবার খরচে। 

আবার দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে এই খাবার খরচেই সবার আগে টান পড়ে। সীমিত আয়ের নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারেও এক্ষেত্রে প্রায় একই রকম প্রভাব পড়ে। করোনা অতিমারিতে তৈরি হওয়া মন্দাবস্থার ঠিক পরেই আড়াই বছর ধরে চলা উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাজারের তালিকা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে অনেক পরিবারে। 

কারো কারো খাবারের মেন্যু থেকে ডিম, দুধ ও ফলমূলের মতো পুষ্টিকর উপাদান একে একে হারিয়ে যেতে বসেছে। পাতের খাবার তিন পদ থেকে কমে দুই পদে নামছে। অনেক পরিবারই আছে পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে। বিশেষ করে এটি প্রভাব ফেলছে শিশুদের পুষ্টিতে। ঠিক এই সময়টাতে বিপুলসংখ্যক পণ্যে নতুন করে শুল্ক-কর বাড়ানো তৈরি করেছে বড় ধরনের শঙ্কা। বিষয়টা অনেকটা ভাতের থালায় ভ্যাটের চাপ তৈরি হওয়ার মতো।

আমরা অনেক বছর ধরেই দেখে আসছি, বাজারে এক-দুইটি পণ্যের দাম বাড়লে এরসঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্যান্য আরও অনেক পণ্যের দাম বাড়ে। এমনকি এই প্রবণতা কখনো কখনো হাস্যকর রকমের অযৌক্তিক পরিস্থিতি তৈরি করে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজি ৩০০ টাকা হলো।

 এই ছুতায় আলুসহ অন্যান্য সবজির দাম বাড়ল। এমনকি শহরের রিকশা ভাড়াও বেড়ে গেল। কারণ, রিকশাচালকদেরও বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনে খেতে হচ্ছে। তাই বাড়তি ভাড়া নিয়ে তারা পেঁয়াজের বাড়তি খরচ উশুল করবে! অর্থাৎ, বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বরাবরই দুর্বল আমাদের দেশে। 

অনিয়ম তদারকির যেন কেউ নেই। আর এ সুযোগে গড়ে উঠেছে নানা সিন্ডিকেট চক্র। যে কোনো ছুতায় তারা দাম বাড়িয়ে দেয়। ভ্যাটবৃদ্ধির খবরের জন্য তারা মুখিয়ে থাকে। ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়লেও পণ্যের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা লুফে নেয় এই অসাধু ব্যবসায়ী চক্র। বিপাকে পড়ে সাধারণ সীমিত আয়ের মানুষ। 

রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাজস্ব অত্যাবশ্যক। কিন্তু শুল্ক-কর যে খাতেই বাড়ুক, ঘুরে-ফিরে ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষকেই হতে হচ্ছে। কারণ, জনগণের চেয়ে বড় দাতা আর কে আছে! এভাবে সব ‘মুশকিলে আসান’ হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানোকেই ব্রহ্মাস্ত্র মনে করা অনুচিত। 

বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। কর-বৃদ্ধির কারণে বাজারে কী প্রভাব পড়ে, সাধারণ মানুষের প্রাত্যাহিক জীবনে কতটা ভোগান্তি বাড়ে- তা আন্তরিকভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরোক্ষ কর না বাড়িয়ে আয়ের শ্রেণিভিত্তিক প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধি এবং কর আদায়ের প্রতি কঠোর হওয়া প্রয়োজন।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অংশ নিয়েছে দেশের আপামর জনতা। রাজনৈতিক সরকার উৎখাতের পাশাপাশি এ আন্দোলনে মানুষের প্রত্যাশা ছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শেকল থেকে মুক্ত হওয়া। কিন্তু আমরা কি আদৌ সে পথে এগোতে পারছি? 
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে দেশে মূল্যস্ফীতি এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। এর মধ্যেই ১২ হাজার কোটি টাকার নতুন শুল্ক ও কর আরোপ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আরও একবার সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে দিল।

দেশে প্রায় তিন বছর ধরে গড় মজুরির চেয়ে গড় মূল্যস্ফীতি বেশি। অর্থাৎ মানুষের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি। ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। মানে হলো, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১০০ টাকায় যে পণ্য কেনা গেছে, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে ভোক্তাকে ১১২ টাকা ৯২ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। যদিও সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার কথা বলছে, তবে এই ভ্যাট আরোপ মুদ্রাস্ফীতির হার আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা হচ্ছে।

আমনের ভরা মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদনেও চালের দাম বেড়েছে। ‘গরিবের চাল’ বলে খ্যাত মোটা চালের দামও বেড়েছে। বন্যার কারণে এবার আমনের উৎপাদন কিছুটা কম হবে, এমন পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। তার জন্য আগেভাগে চাল আমদানির পরামর্শ দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ চাহিদার তুলনায় সরকার চাল আমদানি করেছে অনেক কম। সাধারণত এমন অবস্থায় সরকারের স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির ওপর ভরসা করে দরিদ্র মানুষেরা। কিন্তু এখন সে ভরসার জায়গাটাও শক্ত নয়।

শতাধিক পণ্যের ওপর শুল্ক-কর বাড়ানোর পাশাপাশি হঠাৎ করে টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ করে দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে অনিয়মের অভিযোগে ৪৩ লাখ পরিবারের কার্ড বাতিল করা হয়। প্রশ্ন হলো, কিছু কম দামে পণ্য কিনতে ভোর থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদ, বৃষ্টি, শীতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন কারা? নিশ্চয়ই যাদের প্রয়োজনটা সবচেয়ে বেশি এবং সামর্থ্য সবচেয়ে কম, সেই হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা। বাজার থেকে কম দামে চাল, তেল ও ডাল কেনার জন্য প্রায় সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়েও তাদের অনেককে খালি হাতে ফিরতে হয়। 

একদিকে শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়ে ১২ হাজার কোটি টাকা সাধারণ মানুষের পকেট থেকে বের করতে চাইছে, অন্যদিকে খরচ বাড়াতে চাইছে। পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর ইউনিফর্ম পরিবর্তনেও খরচ হবে কোটি কোটি টাকা। জরুরিভাবে টাকার প্রয়োজন হলে বিভিন্ন খাতে সরকারি খরচ কমানোয় মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল। 

অথবা বিত্তবানদের ওপর প্রত্যক্ষ করারোপ করা যেত। তা না করে, শতাধিক পণ্যে কর ও শুল্ক বাড়িয়ে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অথচ যারা কর ফাঁকি দিচ্ছে, ঋণ খেলাপি হয়ে একটার পর একটা ব্যাংক ফাঁপা করে দিচ্ছে, তাদের কাছ থেকে আদায়ে তেমন কোনো ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে না।

শতাধিক পণ্যে কর-শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত যে কতটা বাস্তবতা-বিবর্জিত তা বোঝাতে একটি উদাহরণই যথেষ্ট। ধরুন, কর বৃদ্ধির কারণে সিগারেটের দাম বেড়েছে। সরকার বলছে এতে ধূমপায়ীরা সিগারেট কম কিনতে আগ্রহী হবেন। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এতে ধূমপায়ীরা কম দামি ও অবৈধ সিগারেটের দিকে ঝুঁকছে। 

ফলে রাজস্ব বাড়াতে গিয়ে উল্টো রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ। তা ছাড়া সিগারেটের দাম বেড়ে যাওয়ায় আজ পর্যন্ত কেউ সিগারেট কেনা বা ধূমপান কমিয়েছে বলে মনে হয় না। কিন্তু এমন হরহামেশাই ঘটে যে, মূল্যস্ফীতির কারণে খাবারের মেন্যুতে টান পড়ছে। এ ব্যাপারগুলো অনুধাবন করতে হলে নীতি-নির্ধারকদের সংখ্যা-তত্ত্ব-তথ্যের বাইরে এসে জীবনঘনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিচার করতে হবে।

জনসাধারণের জন্য পুষ্টিকর খাবার, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায় বা খাদ্য ঘাটতির শিকার হয় এমন অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। মানুষের ভাতের থালায়ই যদি টান পড়ে, তাহলে এই আন্দোলন, সরকার পতন আর এত সংস্কারের মূল্য কী থাকল?

পুষ্টি ঘাটতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়েও সরকারকে ভাবতে হবে। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে এ প্রভাব আরও মারাত্মক। পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। ডিম, দুধ ও ফলের মতো খাবার থেকে বঞ্চিত শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। দীর্ঘমেয়াদে এটি দেশের মানবসম্পদের মান কমিয়ে দেয়। 

এ অবস্থায়, নতুন শুল্ক ও কর আরোপ করার আগে সরকারকে বিবেচনা করা উচিত ছিল যে কীভাবে তা সাধারণ মানুষের জীবনে এর প্রভাব ফেলবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে যুদ্ধরত মানুষের পক্ষে আরও বাড়তি ব্যয় বহন করা অসম্ভব। কিছু বিষয়ে তাই সরকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রথমত, সরকারকে অবশ্যই করনীতিকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর শুল্ক ও করের চাপ কমাতে হবে। করনীতি এমনভাবে প্রণয়ন করা উচিত, যাতে তা নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব কম পড়ে।

দ্বিতীয়ত, পুষ্টিকর খাবারকে সহজলভ্য করতে সরকারকে ভর্তুকি প্রদান করতে হবে। যেমন- প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক-কর কমাতে হবে। তৃতীয়ত, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো আরও শক্তিশালী করা দরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। এতে অন্তত সাধারণ মানুষের মৌলিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।

দেশের সীমিত আয়ের মানুষেরা ইতোমধ্যেই অসহনীয় মূল্যস্ফীতির ভারে জর্জরিত। তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুন শুল্ক ও কর আরোপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনে আরও বোঝা চাপানো অমানবিক। জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত না হলে ভবিষ্যতে দেশের স্বাস্থ্য খাত, উৎপাদনশীলতা এবং অর্থনীতির ওপর এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই সরকার এবং সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের সাধারণ মানুষের বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!