জাতীয় রাজনৈতিক দল এনসিপি’র দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর এবং বিচার বিভাগের প্রতি অশ্রদ্ধার শামিল’ বলে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০২০ সালে দায়ের করা নির্বাচনী মামলা (নং ১৫/২০২০) নিয়ে এনসিপি’র প্রকাশিত মন্তব্যগুলো ভিত্তিহীন, আইনের ভুল ব্যাখ্যা এবং বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী জানান, প্রথম যুগ্ম জেলা ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মার্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদী ইশরাক হোসেন নির্বাচন কমিশন ও শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট ৯ জনকে বিবাদী করে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছরের আইনি লড়াই শেষে বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণা করেন। মামলা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ অপ্রাসঙ্গিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিচার বিভাগের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং অবমাননার শামিল।
মামলায় শেখ ফজলে নূর তাপস বিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং মামলার জবাব দেন এবং একপর্যায়ে মামলা খারিজ এর জন্য দরখাস্ত করেন। বিজ্ঞ আদালত তৎকালীন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই উভয়পক্ষের শুনানী শেষে শেখ ফজলে নূর তাপসের আবেদন নামঞ্জুর করেন। সেই আদেশে অসন্তুষ্ট হয়ে বিবাদীপক্ষ হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করে দীর্ঘদিন মামলাটি আটকে রাখে। যার ফলে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও তাপসের সরাসরি হস্তক্ষেপে শুনানি বার বার পিছিয়ে যায়। ফলে বিবাদীপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ও জবাব দাখিল করা স্বত্বেও মোকদ্দমাটি দীর্ঘদিন অনিস্পন্ন থাকে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলাটি ৫ আগস্টের পর দেশের বিচার ব্যবস্থা আওয়ামী সরকারের রাহু মুক্ত হওয়ায় হাইকোর্ট রিভিশন খারিজ করে নিম্ন আদালতে দ্রুত নিস্পত্তির জন্য পাঠালে, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল পুনঃরায় মামলাটির শুনানি শুরু করেন।
আরও বলা হয়, এনসিপি আইনের ব্যাখ্যা এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় তারা আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্তি করছে, একই সাথে বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে অবমাননা করছে। এছাড়া মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি কারণ নিয়ে এনসিপির বক্তব্য একেবারেই শিশুসুলভ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যে কোন মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির বিজ্ঞ আদালতের একটি সহজাত ক্ষমতা, তাহাছাড়া ২০২০ সালে দায়েরকৃত মামলাটি ২০২৫ সালে নিস্পত্তি হয় যেখানে দীর্ঘ ৫ বছরের অধিক সময় পার হয়েছে।, যা মোটেও সংক্ষিপ্ত সময় নয়। বরং মোকদ্দমাটি আরও পূর্বেই নিস্পত্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল। একটি নির্বাচনা মামলার নিষ্পত্তি সংক্ষিপ্ত সময়ের হওয়া উচিত। এনসিপির এজাতীয় বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। এছাড়া এ সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ আইনি অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।

 
                            -20250501005443.jpg) 
                                    
 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031183405.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন