সেক্টর ভিত্তিক শ্রমিকদের ভিন্ন ভিন্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অবঃ) দিদারুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১ মে) আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অবঃ) দিদারুল আলম বলেন, ‘ধনী গরীবের বৈষম্য ভেঙ্গে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা আমাদের স্বপ্ন। প্রতিবছরই সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সবাই ঢাক ঢোল পিটিয়ে ১ মে শ্রমিক দিবস পালন করে। দিনশেষে আমাদের শ্রমিক ভাইবোনদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনা। কাজেই দিবস উদযাপনের উর্ধ্বে উঠে শ্রমিকদের সত্যিকারের ভাগ্যোন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে।’
দিদারুল আলম আরো বলেন, ‘শ্রমিকদের ঘাম শুকানোর আগেই তার পাওনা পরিশোধের কথা ইসলামে বলা হয়েছে । ন্যায্যতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। আমরা সকলেই কোন না কোনভাবে শ্রমিক। ইনসাফ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের ন্যূন্যতম পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে হবে বলেও জানান তিনি। ’
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা বলেন, ‘সেক্টর ভিত্তিক শ্রমিকদের আলাদা আলাদা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করাতে হবে। প্রতিদিন শ্রমিকদের লড়াই শুরু হয় ভোরবেলায় হাতে হাতুড়ি, কাঁধে শাবল, পিঠে বস্তা তাদের কোনো ছুটির দিন নেই, নেই ঘড়ির কাঁটার হিসেব। শ্রমই যাদের জীবনের ধ্রুবতারা, তারা আমাদের সমাজের নীরব সৈনিক। ১লা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, এটি শুধুই একটি দিন নয় যেটি কেবল উৎসবের, বরং এটি কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন।’
আল মামুন রানা আরও বলেন,‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার সেই সময়ে যে বৈষম্য করেছিলো তার জের ধরে ধীরে ধীরে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রেক্ষিতে তীব্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে হাসিনার পতন ঘটে এবং সেই সাথে আমরা একটি বৈষমহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা প্ল্যাটফর্ম পাই। আমরা এই প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
এবিএম খালিদ হাসান বলেন, ‘মে দিবস যেমন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ে শ্রমিকরা নিজেদের অধিকার বুঝিয়ে নিয়েছিলো ঠিক তেমনি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের ছাত্রজনতার নেতৃত্বে জুলাই অভ্যুত্থান ঘটে। শ্রমিকদের সাথে মালিক পক্ষ প্রতিনিয়ত আয়নাবাজি করছে। এই আয়নাবাজি বন্ধ করতে সরকারকে কঠোর হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।’
এবি পার্টির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, এবিএম খালিদ হাসান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আবু রাইয়ান রছি শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক আজিজা সুলতানা, প্রহরী সমিতির সভাপতি রিপন মাহমুদ, সহকারী দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা,নারী নেত্রী রাশিদা আক্তার মিতু, যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক আরিফ সুলতান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ, সফিউল বাশার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক(ঢাকা) শাহজাহান ব্যাপারি, সহ প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক শরন চৌধুরী, মশিউর রহমান মিলু, যুবপার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক স্থপতি আবুল কালাম মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য হাজরা মেহজাবিন,পল্টন থানা সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা রনি সহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী, যুবপার্টি ও ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :