ঢাকা শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক শূন্য পদে বঞ্চিতদের নিয়োগের দাবি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
ছবি-সংগৃহীত

২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চার হাজার শূন্য পদে নিয়োগ না পাওয়া চাকরি-প্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

বুধবার (৭ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বহু যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ছিল তৎকালীন সরকারের দুর্নীতির ফল। বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত এই মেধাবী প্রার্থীদের চার হাজার শূন্য পদে নিয়োগের উদ্যোগ নিক। দীর্ঘ আট মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনো আগের সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বহাল। তারা রাজনৈতিক পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

গণঅধিকার পরিষদের আরেক সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌক্তিক দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হবে বলে প্রত্যাশা করা হলেও এখনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বরং দেখা যাচ্ছে, পুরোনো সরকারের ঘনিষ্ঠরা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছে, যেমন জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলার আসামিকে পানিসম্পদ সচিব করা হয়েছে, আবার মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্যসচিবকে কৃষি সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের অপসারণ করে, আন্দোলনরতদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় জন-অসন্তোষ বাড়বে।

গণমাধ্যম প্রসঙ্গে আবু হানিফ বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরও কিছু গণমাধ্যম আগের সরকারের প্রচারযন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম, যেখানে সত্যের জায়গা থাকবে, চাটুকারিতার নয়।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য সাকিব হোসাইনসহ আন্দোলনকারী নেতারা।

তাদের প্রধান দাবি, ২০১৮ সালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বঞ্চিত প্রার্থীদের যথাযথ যাচাই-বাছাই করে দ্রুত নিয়োগ প্রদান করতে হবে।