ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫

‘৯ মাসেও আ. লীগ নিষিদ্ধ হলো না কেন’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ১১:২২ এএম
সাদিক কায়েম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সাদিক কায়েম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘জুলাইয়ের আন্দোলনে বিতাড়িত হওয়ার পরও কেন এখনো সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি?’

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন।

স্ট্যাটাসে সাদিক কায়েম লেখেন, ‘দেশের ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো এবং সহিংস কর্মকাণ্ডের পরও এখনো সেই দলটির রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা জনগণের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের নয় মাস পার হলেও এখনো সেই ঘটনার রাজনৈতিক দায় স্বীকার করে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আমরা চাই, অবিলম্বে ওই দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।’ তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন।

সাদিক কায়েম দেশের ছাত্র সমাজকে এ দাবিতে রাজপথে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান এবং ঢাকার যমুনা এলাকায় চলমান গণমিছিলে অংশ নিতে সহযোদ্ধাদের আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এই কর্মসূচির ডাক দেন। রাত ১টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যমুনার সামনে উপস্থিত হন।

এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে যোগ দেন। হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য এবং ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।