বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ শাহিন শওকত বলেছেন, গতকালকে বিএনপির জনসভায় যে ৫০ লাখ জনসমাগম হয়েছে, বিএনপি ফুঁ দিলেই এনসিপিসহ অন্য দলগুলো বাতাসে উড়ে যাবে। তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে।
শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে এ সভা ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিনি বলেন, আজকে এনসিপির ছোট ছোট বাচ্চারা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বিএনপিকে ভয় দেখাও। আগে বিএনপির একটি ওয়ার্ডের নেতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন কর, তারপরে স্বপ্ন দেখো। আমরা চাই ক্ষমতাতে তোমরা আমাদের সঙ্গে থাকো। কিন্তু ছোট বাচ্চা ছেলে অনেক কিছুই আবেগে বলে ফেলো।’
তিনি আরও বলেন, এনসিপি হলো বাংলাদেশ চিলড্রেন পার্টি। ছোটবেলায় আমরা পড়েছি, ‘মৌমাছি মৌমাছি/কোথা যাও নাচি নাচি/দাঁড়াও না একবার ভাই/ঐ ফুল ফোটে বনে/যাই মধু আহরণে/ দাঁড়াবার সময় তো নাই।’ এনসিপি এখন বলে, ‘এনসিপি এনসিপি/কোথা যাও চুপি চুপি/ দাঁড়াও না একবার ভাই/টাকা পাই যেই খানে/ যাই মোরা সেই খানে/ দাঁড়াবার সময় তো নাই।’
অ্যাড. সৈয়দ শাহিন শওকত বলেন, ‘ইউনুস সাহেব আপনি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন, আপনাকে সম্মান দিতে চাই। সম্মান রক্ষা করতে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিয়ে দেন। ভোট করার ইচ্ছে থাকলে আসেন, জনগণের সঙ্গে মিশেন। ভোট করে নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্ট হন আমরা মেনে নেব। আর যদি ভোট নিয়ে পাঁয়তারা করে জনগণের ভোটাধিকার বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করেন তাহলে বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমা করবে না।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনাদের আগাম বলে রাখি, সকলেই প্রস্তুত থাকবেন। যদি বাড়াবাড়ি হয়, আন্দোলনের ডাক আসে, আবারও আন্দোলন শুরু হবে। সেই আন্দোলন বেশি নয়, ৪৮ ঘণ্টার আন্দোলন হবে। এতেই সবকিছু মিশে যাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের সেই দিকে ঠেলে দেবেন না। আমরা চাই গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে সুন্দর বাংলাদেশের জন্য যারা ১৭ বছরের ত্যাগ স্বীকার করে ভোটের জন্য অপেক্ষায় আছে, তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিলে ক্ষমতায় যে আসবে তাকেই আমরা মেনে নেব।
দলের যেসব নেতাকর্মী তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করবে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হায়াত উদ্দৌলার সভাপতিত্বে স্মরণসভার প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ রফিকুল ইসলাম।
জেলা বিএনপির সদস্য সারোয়ার জাহানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম তুহিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিক আহমেদ, সদস্য আবু তাহের খোকন ও ইসমাইল বিশ্বাস প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :