ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

কার্যকর ঐক্য হলে রাষ্ট্রক্ষমতা আমাদের হাতেই আসবে: রেজাউল করীম

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ছবি- সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে দেশপ্রেমিক অন্যান্য দলকে নিয়ে কার্যকর ঐক্য গড়া গেলে আগামী দিনে আমাদের হাতেই রাষ্ট্রক্ষমতা আসবে।

শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি ।

তিনি বলেন, ‘আমরা বহুবার রক্ত দিয়েছি, তবুও সফল হইনি। কারণ, নেতা ও নীতির সঠিক নির্বাচন করতে পারিনি। গত ৫৪ বছরে বিভিন্ন দল ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু ইসলাম এখনও রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারেনি। তবে এবার ইসলামপন্থীদের ঐক্য নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।’

চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই ইসলামপন্থী সব ভোট একত্র করার কথা বলছি। আগামী নির্বাচনে শুধু ইসলামি দল নয়, বরং দেশপ্রেমিক আরও অনেক দলও এই ঐক্যে যুক্ত হতে পারে। আমরা যদি একক নীতি ও কৌশলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরাই হবে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি।’

তিনি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করতে হবে। এটাই এখন জনগণের দাবি। যত ভোট, তত প্রতিনিধিত্ব,এই নীতি বাস্তবায়নের পক্ষে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত। বিএনপিকেও এই পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশন নিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘বর্তমানে সংস্কার নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা চলছে। আমরা লক্ষ্য করছি, কেউ কেউ মৌলিক সংস্কারে আপত্তি করছে, যা দ্বিমুখী অবস্থান। যদি সত্যিকারের সংস্কার না হয়, তবে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা খুন, গুম, দখলবাজি ও জুলুম চালিয়েছে। যারা এসব অপরাধে জড়িত, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আর চাঁদাবাজ, খুনির শাসন চায় না। চব্বিশে যারা জীবন দিয়েছে, তারা দখল ও খুনের রাজনীতির জন্য রক্ত দেয়নি। ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় এলে কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। এ দেশে মসজিদ যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে মন্দিরও।’

শেষে তিনি বলেন, ‘যারা দাড়ি-টুপি পরা আলেমদের কটাক্ষ করে, তাদেরকে আমরা ক্ষমতায় যেতে দেব না। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের গোলামি করার জন্য জীবন দেয়নি। তারা মরতে পারে, কিন্তু কারও দাসত্ব মেনে নেয় না। মঞ্চে যারা আছেন, তারা যদি এক থাকেন, কথা রাখেন তাহলে ইনশাআল্লাহ, আগামীতে ইসলামপন্থীরাই রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে।