সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও গণভোটের আলোচনা এখন ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতা প্রিন্স বলেন, ‘এখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং অবাধ, গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।’
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
রুহিন হোসেন এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এখন গণভোট অপ্রয়োজনীয়। প্রয়োজনে গণভোট হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। আর সংসদে উচ্চকক্ষ হবে গরিবের হাতি পোষা—একদম অপ্রয়োজনীয়।’
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রুহিন হোসেন প্রিন্স এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘কোন ৩০ প্রস্তাব! এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করবে কে, দেশবাসীকে জানানো হবে কীভাবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা তো শুনলাম না। আর সংবিধান সংস্কার পরিষদ কোথা থেকে এল। এটা নিয়ে তো ঐকমত্য কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি। এ আলোচনাই এখন অগ্রহণযোগ্য।’
প্রিন্স বলেন, ‘লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল ৩০ বছরের জন্য বিদেশকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না।’


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন