বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে ‘আপত্তির’ ব্যাখ্যা দিল এনসিপি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)।

নির্বাচনি প্রচারণায় জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে দলটি। দলটির দাবি, তারা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে আক্রমণ বা বিরোধিতা করেনি; বরং ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’-এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলেছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এনসিপিসহ মোট সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে এনসিপির আপত্তির কথা শিরোনামে প্রকাশিত হলে এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এবং আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “আজ নির্বাচন কমিশনে আমরা যা বলেছি, সেটা বিদ্যমান আইনের আলোকে। আমরা মূলত ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’-এর বিধি ৭(চ)-তে বর্ণিত নিয়মগুলো যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছি। এই নিয়ম তো সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। বিএনপির বিষয়টা একটি উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যক্তি আক্রমণের উদ্দেশে নয়। কিন্তু গণমাধ্যমগুলোর শিরোনামগুলো যেভাবে লেখা হয়েছে, তার ফলে ভুল বার্তা যেতে পারে।”

অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, নির্বাচনি আচরণ বিধিমার বিধি ৭(চ) অনুযায়ী, দফা ঙ'তে যা থাকুক না কেন, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত হলে সে ক্ষেত্রে তিনি শুধু নিজের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ড বিল ও ফেস্টুনে ছাপাতে পারবেন এবং উল্লিখিত ছবি পোট্রেট আকারে হতে হবে এবং তা কোনো অনুষ্ঠান ও জনসভায় নেতৃত্ব দান বা প্রার্থনারত অবস্থায় বা ভঙ্গিমায় ছাপানো যাবে না।

এই ধারার কথা উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট মুসা বলেন, ‘আইনের এই ধারা অনুযায়ী দলীয় প্রধান হিসেবে কেবল খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই নিয়মটা মানা হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকলে বিধিমালা প্রয়োগের বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের নজরে নিয়ে আসি।’

তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘এই নিয়ম তো সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। বিএনপির বিষয়টি একটি উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যক্তি আক্রমণের উদ্দেশ্যে নয়। কিন্তু গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম যেভাবে লেখা হয়েছে, তার ফলে ভুল বার্তা যেতে পারে।’

এনসিপি মনে করে, প্রচারিত শিরোনামের মাধ্যমে সৃষ্ট ভুল বার্তা যেন জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে, সেদিকে সবার লক্ষ রাখা উচিত।

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে এনসিপিসহ মোট ৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে এনসিপির আপত্তি উল্লেখ করে প্রকাশিত হয়, যা ভুল বার্তা বহন করছে বলে মনে করে দলটি।

Link copied!