রাজধানীর বাড্ডায় প্রকাশ্যে গুলি করে বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) সকালে নিহতের স্ত্রী মোছা. দিলরুবা বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্তে কাজ চলছে।’
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে ওসি সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি জানেন না।
রোববার (২৫ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাট ৪ নম্বর গলিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান সাধন স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় মুখে মাস্ক পরা দুজন দুর্বৃত্ত এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়।
হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, চায়ের দোকানে বসা অবস্থায় কামরুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে হামলাকারীরা। আশপাশে লোকজন উপস্থিত থাকলেও কেউ প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনি।
নিহতের এক স্বজন জানান, ঘটনাস্থল ছিল গুদারাঘাট ৪ নম্বর রোডের সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের কার্যালয়ের বিপরীতে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কামরুল আহসান সাধনকে উদ্ধার করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। গুলি তার বুক, পিঠ ও ঘাড়ে লাগে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও ডিজিটাল ফরেনসিকের মাধ্যমে হত্যাকারীদের শনাক্তের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :