ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

শরীরচর্চা ও খেলাধুলা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও সামাজিক দিক থেকেও মানব জীবনের অপরিহার্য অংশ। সুস্থ ও সুখী জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিনের অভ্যাসে এগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। 

চলুন ধাপে ধাপে জানি শরীরচর্চা ও খেলাধুলার বিভিন্ন উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।

শরীরচর্চা শরীরকে ফিট রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মন ভালো রাখে। এর মাধ্যমে আমরা দৈনন্দিন জীবনের চাপ ও উদ্বেগ হ্রাস করতে পারি।

দৈহিক উপকারিতা

-ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

-হাড় ও পেশি শক্তিশালী করে

-রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়

-শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়

মানসিক উপকারিতা

-মেজাজ উন্নত করে

-ঘুমের মান বাড়ায়

-আত্মবিশ্বাস ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়

-স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়

খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা

খেলাধুলা শুধু বিনোদন নয়, এটি শিক্ষা, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্ব গঠনের মাধ্যমও বটে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।

-শিশুরা দলগত কাজ শেখে

-নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হয়

-সময়ানুবর্তিতা গড়ে তোলে

-নিয়মিত চর্চা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখায়

শরীরচর্চার বিভিন্ন ধরন

কার্ডিও: হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার, সাইক্লিং—সবকিছুই হৃদস্পন্দন বাড়ায় ও ক্যালোরি পোড়ায়।

ওজন প্রশিক্ষণ: ডাম্বেল, বারবেল, বডি ওয়েট এক্সারসাইজ ইত্যাদি পেশি গঠনে সাহায্য করে।

খেলাধুলার মানসিক প্রভাব

খেলাধুলা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এক অসাধারণ টনিক।

-এন্ডরফিন হরমোন মনকে করে শান্ত ও প্রফুল্ল।

-সাফল্য ও টিমওয়ার্ক থেকে জন্ম নেয় আত্মবিশ্বাস।

-বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব গড়ে ওঠে।

শারীরিক ফিটনেস ও দীর্ঘায়ু

-নিয়মিত শরীরচর্চা জীবনকে করে আরও দীর্ঘ ও সুস্থ।

-হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে

-মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, আত্মবিশ্বাস ও জীবনীশক্তি বৃদ্ধি।

শিশুদের জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব

-খেলাধুলা শিশুদের জন্য একাধারে বিনোদন, শিক্ষা ও বিকাশের মাধ্যম।

-হাড় ও পেশি মজবুত হয়

-সামাজিক দক্ষতা: দলগত মানসিকতা ও বন্ধুত্ব তৈরি হয়

বয়স্কদের শরীরচর্চা

-বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়।

-হৃদরোগ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর এবং রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

-শরীর ও মন সক্রিয় থাকে এবং স্মৃতিশক্তি ও সামাজিক সংযোগ বাড়ে।

খেলাধুলার সামাজিক দিক

খেলাধুলা সমাজে সম্প্রীতি, সম্মান এবং দলবদ্ধতার শিক্ষা দেয়।

-একসঙ্গে কাজ করার দক্ষতা অর্জিত হয়।

-বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি পায়।

শরীরচর্চার উপকারিতা কী কী?

ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্ট্রেস হ্রাস, শক্তি বৃদ্ধি, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস। খেলাধুলা স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম সুস্থ জীবনের জন্য অত্যন্ত দরকারি।

ছোটবেলা থেকেই শুরু করলে সবচেয়ে উপকার পাওয়া যায়, তবে যেকোনো বয়সেই শুরু করা যায়।

শরীরচর্চা ও খেলাধুলা আমাদের জীবনের মান উন্নত করে, সুস্থতা নিশ্চিত করে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করে আরও সক্রিয় ও প্রফুল্ল। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক—সব বয়সের মানুষের জন্য এটি উপকারী। প্রতিদিনের রুটিনে অন্তত অল্প সময় ব্যয় করুন শরীরচর্চা ও খেলাধুলায়—সুস্থ থাকুন, সতেজ থাকুন।