আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের যথেষ্ট আস্থা আছে। আমরা এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, আমি মনে করি যে তারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে —‘বিএনপি প্রস্তুত নয়’, ‘বিএনপিতে ক্যান্ডিডেট নেই’, ‘এখনো ক্যাম্পেনই শুরু করতে পারেনি’। এগুলো ঠিক না। বিএনপি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন কেন্দ্রিক দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলা পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর ক্যারেক্টর। তবে এনসিপি এবং জামায়াতে ইসলামী যে দাবিগুলো তুলছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা কঠিন ব্যাপার। কারণ, কিছু দাবির প্রতি আমাদের জোর আপত্তি রয়েছে। যেমন- পিআরের ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য খুবই পরিষ্কার। পিআর সিস্টেমে আমাদের দেশের জনগণ অভ্যস্ত নয়, এটার জন্য প্রস্তুত নয়, সুতরাং আমরা এটা মেনে নিতে রাজি নই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যদি সুস্থ থাকেন এবং কাজ করার উপযোগী থাকেন, তাহলে তো তিনি হবেন। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবেন। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।’
ভারত সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বরাবরই আমরা চেয়েছি একটা ফাংশনাল রিলেশনশিপ। সৎ প্রতিবেশীর মতো একটা আচরণ ভারত করবে। অর্থাৎ আমাদের সঙ্গে যে সমস্যাগুলো আছে, সেই সমস্যাগুলো সমাধানে তারা পজিটিভভাবে পদক্ষেপ নেবে। যেমন পানি সমস্যা আছে, এটার সমাধান হয়নি। বর্ডারে যে হত্যা, এটা বন্ধ করার জন্য আমাদের অনেক বেশি সচেষ্ট থাকতে হব। সেই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের ট্রেডিং ব্যালেন্স, সেটাকে দূর করার জন্য আমরা অবশ্যই চিন্তা করব। সমস্যা হচ্ছে ভারতের হস্তক্ষেপ। ভারত যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ না করে, সেটাই আমরা চাইব।’