সংস্কার ও বিচারের পূর্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন না করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, ন্যায়বিচার ও নির্বাচনব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া যেকোনো নির্বাচন হবে প্রহসনের নামান্তর।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, যারা বিচার চায় না, তারা শুধু তড়িঘড়ি করে নির্বাচন চায়, কিন্তু সংস্কার চায় না। ২০১৪ সালে ছিল বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮-তে দিনের ভোট রাতে হয়েছে এবং ২০২৪-এ নিজেদের মধ্যে ভোট দিয়ে ডামি নির্বাচন করা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ সত্যিকারের নির্বাচন চায়, তবে যেনতেন নির্বাচন চায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে, সেই দল এবং তাদের সহযোগীদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। আমরা সরকারকে বলতে চাই- আগে বিচার হবে, তারপর সংস্কার, তারপর নির্বাচন।’
ভোটাধিকার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে ইচ্ছে তাকে দেব। কিন্তু তাদের স্লোগান ছিল- তোমারটাও আমি দেব। এভাবেই তারা ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এখন এই ব্যবস্থা জীবন্ত করতে হবে। মৃত গণতন্ত্র ও মৃত ভোটব্যবস্থা দিয়ে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না। তাই আমরা বলছি- সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হতে পারে না।’
দুই দশক পর কিশোরগঞ্জে খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত এ কর্মী সম্মেলনে লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থকের সমাগম ঘটে। জেলার ১৩টি উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সামিউল হক ফারুকী এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আপনার মতামত লিখুন :