ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: গোলাম পরওয়ার

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০৯:১১ পিএম
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল হলো বিল ডাকাতিয়া। ফুলতলা-ডুমুরিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস এই বিল।

তিনি বলেন, এই বিলে অব্যাহত জলাবদ্ধতায় এই অঞ্চলের মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট ও দুর্ভোগ আমাকে সবসময় পীড়া দেয়। আমিও এই মাটির সন্তান। এই বিলে আমাদেরও জমিজমা রয়েছে। সুতরাং আপনাদের দুঃখ-কষ্ট আমাদেরই দুঃখ-কষ্ট। 

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর ইউনিয়নের কালিঘাট স্লুইসগেটের পোল্ডার খুলে দেয়া পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমি গত আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জেল থেকে বেরিয়েই বিলের জলাবদ্ধতার কথা জানতে পারি। তখন এলাকার মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে আমি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডিসি, ফুলতলা-ডুমুরিয়ার ইউএনও অফিসে নিজে গিয়ে টেলিফোন করে চেষ্টা করেছি এই জলাবদ্ধতা নিরসনের।’

তিনি বলেন, ‘এই জলাবদ্ধতা দুই ভাবে হয়ে থাকে। এক. প্রাকৃতিক দুই. মনুষ্য সৃষ্টি। প্রকৃতির উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এটা একমাত্র আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু আমাদের নিজ স্বার্থের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে খালে বিলে পাটা দিয়ে, জমি দখল করে মাছ চাষ করার নামে খাল দখল করে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবে পানি প্রবাহিত হতে পারে না সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, আমি গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনাদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরি। উনি তাৎক্ষণিকভাবে একটি কমিটি করে দেয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজিকে পাঠান জলাবদ্ধতা দূরীকরণের করণীয় ঠিক করতে।’

গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘গত শুক্রবার ডিজি আসছিলেন এবং তিনটা পর্যায় ঠিক করেছেন। এদিকে যদি এই স্লুইসগেটের সবগুলো খুলে দেয়া হয় তাহলে এক পাশ রক্ষা পেলেও অপর পাশের ভাইয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

জামায়াত নেতা বলেন, ‘এমন একটা ব্যবস্থা করতে হবে যাতে উভয় পাশের লোকজন ভালো থাকতে পারে। আজ আমি এই কালিঘাটের পোল্ডার আলোচনা সাপেক্ষে সহনীয় পর্যায় খুলে দিলাম। আর এই বিল ডাকাতিয়া, বিল বাদুড়িয়া, বিল মধুগ্রামসহ সকল বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সেক্রেটারি মুন্সী মঈনুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার শেখ সিরাজুল ইসলাম, কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা, ডুমুরিয়া উপজেলার এসিল্যান্ড মো. আতিক, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ফুলতলা উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল হাসান খাঁন, জামায়াত নেতা শেখ মো. আলাউদ্দিন, মো. আসলাম সরদার, নূর ইসলাম গাজী, মো. মকিত শেখ প্রমুখ ।