চলতি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল দুই দলকে ইতিহাসের কাক্সিক্ষত মুহূর্তে দাঁড় করিয়েছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা—দুই দলই গত দশকের লড়াইয়ের পর, চলতি বিশ্বকাপে সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে ফাইনালে পৌঁছেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেকে খুঁজে পেয়েছে সেই বিব্রতকর পরিস্থিতির পরে যখন তারা মাত্র ৬৯ ও ৯৭ রানে অলআউট হয়েছিল। ভারত, অন্যদিকে, গ্রুপ পর্বে তিন দলকে হারাতে পারেনি যারা পয়েন্ট টেবিলের উপরের সারিতে ছিল।
তবে নকআউট রাউন্ডে এ দুই দল তাদের সেরা রূপ দেখিয়েছে—দক্ষিণ আফ্রিকা গুজরাটে ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করেছে, আর ভারত নবি মুম্বাইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পরাস্ত করেছে।
রবিবারের ফাইনাল হবে ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল, যেখানে না থাকবে অস্ট্রেলিয়া, না থাকবে ইংল্যান্ড। এদিন এক নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব।
এবারের ফাইনাল শুধু ট্রফি জয়ের প্রতিযোগিতা নয়, এটি সুযোগ হতে পারে খেলোয়াড়দের জন্য, যারা কঠিন পরিবেশ ও সীমিত সুযোগের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ননকুলুলেকো ম্লাবা এবং ভারতের ক্রান্তি গৌড়ের মতো প্রতিভারা তাদের দেশের নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারেন। তাদের সাফল্য নতুন প্রজন্মকে ক্রিকেটে আগ্রহী করতে পারে, এবং বাবা-মায়ের বিশ্বাস বাড়াতে পারে যে মেয়েরাও স্মৃতি মান্ধানা বা মারিজান্ন কাপের মতো সফল হতে পারে।
ফাইনাল ম্যাচে নবি মুম্বাইয়ের গ্যালারিতে ৩০,০০০-এর বেশি দর্শকের সামনে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে, যেখানে তারা এখনও এই বিশ্বকাপে খেলেনি।
তবে সময় ও মানসিক প্রস্তুতির দিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের জন্য কিছুটা সুবিধা থাকতে পারে, কারণ তারা কিছুটা আনন্দের মুহূর্ত কাটিয়ে ফাইনালে এসেছে।



