ঢাকা শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

‘সরকারের ৩ উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন’

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি- সংগৃহীত

সরকারের তিনজন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। 

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ডা. তাহের বলেন, একটি রাজনৈতিক দল শুরু থেকেই রাষ্ট্র সংস্কারের বিরোধিতা করছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হয়ে একটি বিশেষ দলের স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে গণভোট নিয়ে জনগণকে নতুন জটিলতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে ৯০ শতাংশ দল বিভিন্ন সিদ্ধান্তে একমত হলেও প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের স্বার্থে সুপারিশ পাশ কাটিয়ে গেছেন। তাহেরের অভিযোগ, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি বিশেষ দলের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তারা গণভোট নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে।

ডা. তাহের বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোট হলে বিষয়টি সেই দলের চিন্তা-চেতনার বিপরীতে যাবে। তাই তারা বলছে গণভোট হলে জীবনেও মানবে না। অথচ সরকার তাদের চাপে নতি স্বীকার করে একই দিনে গণভোটের ঘোষণা দিয়েছে।

তিনি দাবি করেন, একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন সংস্কারের বিষয়টিকে গুরুত্বহীন করে তুলবে।

জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের দিনে দলগুলো নিজেদের প্রার্থীর প্রচারণায় ব্যস্ত থাকবে। পরে গণভোটে ভোট কম পড়লে তারাই বলবে এটাই হওয়ার কথা ছিল। আমরা মনে করি, এটি একটি সুস্পষ্ট ফাঁদ এবং সরকার সেই ফাঁদে পা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, জনগণ গত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সাম্প্রতিক প্রশাসনিক রদবদলেও একটি দলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতা চললে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

ডা. তাহের বলেন, ‘আট দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল চান রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হোক। আমরা মাঠে কাজ করছি। কিন্তু যে কারণে জনগণ ১৫ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল, আবারও সেই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। পরিকল্পিত আরেকটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে কি না এ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।’