ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

কুষ্টিয়ায় বিএনপির দু’পক্ষের গোলাগুলি, আহত ৩

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
ভেড়ামারায় সার্চ কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সার্চ কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটেরও ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের গো-হাট সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে  রাত ১২টার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি গুলির খোসা ও চারটি তাজা গুলি উদ্ধার করেছে। তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি এবং থানায় কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছিল। বৈঠক রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে। এতে সার্চ কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম সরকার, আসাদুজ্জামান মিঠু, শামসুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের একপর্যায়ে রবিউল ও আসাদুজ্জামানের সঙ্গে শামসুল ইসলাম পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বৈঠক শেষে হঠাৎ করেই সেখানে গুলি ছোড়া হয়। দুই পক্ষের লোকজন দুইদিকে অবস্থান নেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়।

এ সময় সংঘর্ষে বিএনপির এক পক্ষের কর্মী হামিদুল ও আরিফ এবং অপর পক্ষের কর্মী টিপু আহত হন। তাদের ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, ‘শামসুল ইসলাম খুবই বেপরোয়া আচরণ করেন। তিনি তার ছেলেসহ অন্যদের দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছেন। আমরা কোনোভাবেই এই হামলার সঙ্গে জড়িত নই।’

অপরদিকে ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য শামসুল বলেন, ‘ধরমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হওয়ার কারণেই মূলত আজকের এই নাটক শুরু করেছে। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে আজকের এই ঘটনা ঘটনা হয়েছে। মিটিং শেষে আসাদুজ্জামান মিঠু আমাকে গাড়িতে তুলে দিয়েছে। আমি চলে আসার পরেই মূলত এই ঘটনা ঘটেছে।’

ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি সার্চ কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল। তিনজন আহত হয়েছে। তবে তারা গুলিতে আহত হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে গুলির ৫টি খোসা ও ৪টি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’