আওয়ামী লীগের পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনটিকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ধার্য করে বুধবার (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে ভিন্ন প্রস্তাবনা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ নিজেদের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পোস্টে জাতীয় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন লিখেন, ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস সেদিন হবে, যেদিন জুলাই ঘোষণাপত্র আসবে, যেদিন মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে।’
পোস্টে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম লিখেন, ‘৮ আগস্ট ২য় স্বাধীনতা শুরু হয়নি। ২য় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।’
তিনি লিখেন, ‘৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস এবং 'দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস।’
আরেক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেন, ‘নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট না।’
তিনি লিখেন, ‘৫ আগস্টের সাধারণ ছাত্র জনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’
এর আগে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনটিকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
এ ছাড়া গণ-আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর যথাযথভাবে এই তিন দিবস প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
৫ আগস্ট জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত এবং অপর দুটি দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে বলে তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিনটি সাধারণ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত সরকার আগেই জানিয়েছিল।