ঢাকা শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

রাজনৈতিক চাপ ও নিরাপত্তাহীনতা, স্বাধীন সাংবাদিকতার বড় বাধা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ১২:২১ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো রাজনৈতিক চাপ, গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতা। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার বিচার না হওয়ায় তারা অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, দেশের টেলিভিশন মিডিয়ার জন্য আলাদা আইন নেই। ফলে সরকার চাইলে যেকোনো সময় টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারে। অনলাইন ও টিভি সাংবাদিকদের জন্য কোনো নির্ধারিত বেতন কাঠামো নেই। ঢাকায় অনেক সাংবাদিক মাসে মাত্র ৮-১০ হাজার টাকা পান, আর মফস্বলের বেশিরভাগ সাংবাদিক কোনো বেতনই পান না। বরং অনেক সময় আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য উল্টো টাকা দিতে হয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অধিকাংশ সংবাদপত্র এখনো ২০১৩ সালের অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুসরণ করে, কিন্তু সেটিও বাধ্যতামূলক নয়। অনেক মালিক ওয়েজবোর্ড মানেন না। যেখানে বেতন দেওয়া হয়, সেখানেও চার-পাঁচ মাস বকেয়া থাকা অস্বাভাবিক নয়। চাকরির স্থায়িত্ব নেই, মালিক চাইলে যেকোনো সময় ছাঁটাই করতে পারেন।

স্বাধীন সাংবাদিকতার বড় বাধা প্রসঙ্গে এনসিপির এ নেতা বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব ও গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ স্পষ্ট। বিশেষ করে ডিজিএফআই-এর প্রভাব চোখে পড়ার মতো। তাদের নির্দেশ না মানলে বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যায়, মালিকদের ব্যবসায় বাধা দেওয়া হয় এবং সাংবাদিকদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এ কারণে অনেক মালিক বাধ্য হয়ে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকেন। ফলে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ব্যাহত হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, অনেক গণমাধ্যম মালিক সাংবাদিকদের দিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক প্রচার চালান। এর সঙ্গে করপোরেট প্রভাবও জড়িয়ে আছে। তার মতে, শক্তিশালী করপোরেট গ্রুপগুলোর চাপ ও প্রভাব স্বাধীন সাংবাদিকতাকে আরও সংকুচিত করছে।