রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০১:০৬ পিএম

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, থাকছে যেসব সুবিধা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০১:০৬ পিএম

বাংলাদেশসহ সব দেশের নাগরিকদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে মালয়েশিয়া। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশসহ সব দেশের নাগরিকদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে মালয়েশিয়া। ছবি- সংগৃহীত

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয় দেশ মালয়েশিয়া। এবার দেশটির সরকার বিদেশিদের জন্য স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের নাগরিকই শর্তসাপেক্ষে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মালয়েশিয়ার পারমানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি একজন ব্যক্তিকে সেদেশে বসবাস, কাজ এবং পড়াশোনা করার সুযোগ দেয়। এটি মালয়েশিয়ার নাগরিকত্বের সমান অধিকার না দিলেও (যেমন ভোটের অধিকার), অস্থায়ী ভিসাধারীদের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনতা দেয়। স্থায়ী বাসিন্দারা স্থানীয়দের মতোই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।

রেসিডেন্স পাস কী?

রেসিডেন্স পাস হলো একটি বিশেষ অনুমতিপত্র, যা একজন বিদেশি নাগরিককে দেওয়া হয় যদি তিনি ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস-এর ১৬এ ধারা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হন। এই পাস মালয়েশিয়ায় দীর্ঘ সময় থাকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

রেসিডেন্স পাসের প্রধান ক্যাটাগরিগুলো

মালয়েশিয়ার নাগরিকের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক (ক্যাটাগরি ৩) :

মালয়েশিয়ার নাগরিকের স্বামী/স্ত্রী।

মালয়েশিয়ার নাগরিকের ১৮ বছরের কম বয়সি জৈবিক, সৎ বা দত্তক সন্তান।

মালয়েশিয়ার নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ বা মৃত্যুর পর যদি তাদের কোনো জৈবিক সন্তান মালয়েশিয়ার নাগরিক হয়।

মালয়েশিয়ার নাগরিকের জৈবিক মা/বাবা।

মালয়েশিয়ার নাগরিকের শ্বশুর/শাশুড়ি, যারা মালয়েশিয়ায় একটি বৈধ পাস নিয়ে আছেন।

মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক (ক্যাটাগরি ৪) :

মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দার ১৮ বছরের কম বয়সি জৈবিক সন্তান।

মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দার স্বামী/স্ত্রী।

প্রাক্তন মালয়েশিয়ান নাগরিক (ক্যাটাগরি ৫) :

যারা স্বেচ্ছায় মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।

যাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে।

আবেদনের সাধারণ শর্তাবলি

আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ছয় (৬) মাস থাকতে হবে।

আবেদনকারীকে মালয়েশিয়ায় একটি বৈধ দীর্ঘমেয়াদি পাস নিয়ে অবস্থান করতে হবে।

ক্যাটাগরি ৩-এর জন্য, আবেদনকারীকে একটি বৈধ দীর্ঘমেয়াদি পাস নিয়ে মালয়েশিয়ায় কমপক্ষে তিন (৩) বছর বসবাস করতে হবে।

ক্যাটাগরি ৪-এর জন্য, আবেদনকারীকে একটি বৈধ দীর্ঘমেয়াদি পাস নিয়ে মালয়েশিয়ায় কমপক্ষে পাঁচ (৫) বছর বসবাস করতে হবে।

আবেদনটি অবশ্যই ২১ বছর বা তার বেশি বয়সি একজন মালয়েশিয়ান নাগরিকের দ্বারা স্পনসর হতে হবে।

ক্যাটাগরি ৩ ও ৪-এর আবেদনগুলো নিকটতম ইমিগ্রেশন অফিস বা পুত্রজায়ার ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে জমা দেওয়া যাবে।

ক্যাটাগরি ৫-এর আবেদনগুলোর সঙ্গে মূল এবং ফটোকপি উভয় ধরনের নথি জমা দিতে হবে।

ক্যাটাগরি ৩ (iii)-এর ক্ষেত্রে, বিবাহবিচ্ছেদ বা বিধবা/বিপত্নী আবেদনকারীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে জৈবিক সন্তানের পূর্ণ বা যৌথ অভিভাবকত্ব লাভ করতে হবে।

বিদেশি দেশ থেকে ইস্যু করা সব ফটোকপি নথি অবশ্যই মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট বিদেশি মিশন দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।

পশ্চিম মালয়েশিয়ায় আবেদন করতে হলে একজন মালয়েশিয়ার নাগরিক এবং সাবাহ ও সারাওয়াকে আবেদন করতে হলে সাবাহ বা সারাওয়াকের একজন মালয়েশিয়ান নাগরিক স্পনসর করতে পারবেন।

নথি জমা দেওয়ার সময় স্পনসর এবং আবেদনকারী উভয়কেই ইমিগ্রেশন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।

আবেদন ফি: রেসিডেন্স পাসের জন্য পাঁচ বছরের জন্য ৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ১৪ হাজার ৩৪৬ টাকা।

রেসিডেন্স পাসধারীরা অন্য কোনো পাসে রূপান্তর ছাড়াই মালয়েশিয়ায় কাজ, পড়াশোনা এবং ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তবে অন্যান্য কর্তৃপক্ষের শর্ত সাপেক্ষে।

বিস্তারিত জানতে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!