আল্লাহ তাআলা মুমিনের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করাকে ফরজ করেছেন। ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
সানা নামাজের ভেতরের একটি অংশ। আল্লাহু আকবর বলে তাকবিরে তাহরিমা বাঁধার পর প্রথম যে কাজটি করতে হয়, তা হলো- সানা পড়া। এ জন্য এটাকে শুরু করার দোয়া বলা হয়। এটিকে দোয়ায়ে ইসতিফতাহও বলা হয়।
কেননা এটি তাকবিরে তাহরিমার পর পড়তে হয়। এটি মহান আল্লাহ তাআলার জন্য বান্দার পক্ষ থেকে মানপত্রও বটে।
আর এটি পুরো নামাজের প্রথম রাকাতে একবারই পড়তে হয়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজ শুরু করে (তাকবিরে তাহরিমার পর) বলতেন–
سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالِىْ جَدُّكَ وَلَا اِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআ-লা জাদ্দুকা, ওয়ালা ইলাহা গায়রুক।
বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে। আর তুমি ব্যতিত সত্যিকার কোনো মাবুদ নেই। (সহিহ বুখারি : ৮০৪)।
ইমাম আস্তে কেরাত পড়া অবস্থায় ইমামের সঙ্গে নিয়ত বেঁধে সানা পড়তে পারে; তাতে কোনো অসুবিধা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :