মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বড়ইকান্দি ভাটের চর হিলফুল ফুজুল যুব সংগঠনের উদ্যোগে এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ করেছেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল ৮টা হিলফুল ফুজুল যুব সংগঠনের যুবকরা ইটের খোয়া ও সুড়কি ফেলে ভাঙাচোরা রাস্তায় সংস্কারের কাজ করেছেন।
শুক্রবার দিনব্যাপী গজারিয়া উপজেলা টেংগারচর ইউনিয়ন বিশদ্রোন ভাটেরচর এলাকায় হয়ে বড়ইকান্দি ভাটেরচর এলাকা থেকে সড়কে এই কাজ করছেন তারা। স্থানীয় ইট ভাটাগুলো থেকে খোয়া ও সুড়কি কিনে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে এসব কাজ স্বেচ্ছায় চালিয়ে যাচ্ছেন।
দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তাটি চলাচলে অযোগ্য হলেও সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। বাধ্য হয়ে ওই সংগঠনের সদস্যরা নিজ উদ্যোগে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য হাতে নিয়েছেন। এ সংগঠনের সদস্যরা দলবদ্ধভাবে মানুষের পাশে থাকবেন বলে অঙ্গীকার করে সংগঠন চালু করেছেন।
হিলফুল ফুজুল যুব সংগঠন সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান সুমন জানান, ভাটেরচর সড়কটির অধিকাংশ স্থানই খানাখন্দে ভরা। তবে আওলাদ হোসেনের বাড়ি থেকে জহির ফার্মেসি দোকান পর্যন্ত খানাখন্দ বেশি হওয়ায় এ অংশে প্রায়ই ছোট ছোট যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ছে। তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এলাকার যুবসমাজ নিজ উদ্যোগে সড়ক সংস্কার ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের একাধিক স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। টাওয়ার সংলগ্ন মো. আবু তাহের এর বাড়ির থেকে মো. ফারুক মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। স্থানীয়রা জানান, বড়ইকান্দি ভাটেরচর সড়কের এ অংশটুকুতে প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এতে অনেক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। বাচ্চাদের স্কুল কলেজে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যুবসমাজের এই চেষ্টায় সাময়িকভাবে হাঁটার সুযোগ তৈরি হলেও স্থায়ী সমাধানের জন্য পাকা রাস্তার ব্যবস্থা করা জরুরি। সরকারি সহায়তা ছাড়া এটি সম্ভব নয়।
গ্রামের মানুষ এখন একটাই দাবি জানাচ্ছেন, অতিদ্রুত আধুনিক ও টেকসই সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক, যাতে তাদের যাতায়াতের ভোগান্তি দূর হয়।
এ সময় উপস্থিত থেকে কাজ করেছেন আব্দুল জলিল মাস্টার, এডভোকেট খন্দকার মো. মনিরুজ্জামান সুমন, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন সাইমন, রমজান মোল্লা, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :