যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সংক্রান্ত ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেন; এতে সম্মতি জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শুনতে পাচ্ছেন হামাসও এতে রাজি হবে।
আর হামাস এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি জীবিত মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে।
আর এরপরই হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে। এরপর গাজায় গঠিত হবে একটি সরকার বা প্রশাসন। আর এ প্রশাসনের প্রধান হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে তৈরি এ অন্তর্বর্তী সরকারের নাম হবে 'দ্য বোর্ড অব পিস' বা শান্তি প্রশাসন। যেটির প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন তিনি৷ ট্রাম্প জানান, আরব ও ইসরায়েলিদের অনুরোধেই তিনি এ দায়িত্ব নিচ্ছেন।
তার নেতৃত্বাধীন এ অন্তর্বর্তী সরকারে অন্য বৈশ্বিক নেতারাও থাকবেন। যার মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নাম রয়েছে। ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ব্রিটিশ সেনাদের ইরাকে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন টনি ব্লেয়ার। এ কারণে তাকে ইরাকের কসাই হিসেবেও অনেকে অভিহিত করে থাকেন।
গাজার নতুন অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বব্যাংকের সাথে কাজ করবে। এ ছাড়া তারা ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের বাঁছাই করে পরবর্তীতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্বাধীন একটি সরকার গঠন করবেন। সঙ্গে গাজায় একটি সুশঙ্খল পুলিশ বাহিনী গঠন করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই সরকারের দায়িত্ব থাকবে গাজা ও হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ করা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন