ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার (১৮ জুলাই) কার্যক্রম শুরু করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন (UNHRC)। এ উপলক্ষে এদিন বিকেলে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচআরসির মধ্যে তিন বছরের একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়। তার একদিন পর মুখ খুলেছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
শনিবার (১৯ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসুবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন- ‘এ দেশে জাতিসংঘের আঞ্চলিক অফিস কেন?’
নিজের পোস্টের কমেন্টে মিজানুর রহমান আজহারী লেখেন, ‘যেসব দেশে তাদের আঞ্চলিক দপ্তর রয়েছে, সেসব দেশের জনগণ কি সেখানে শান্তিতে আছেন?’
এই ইসলামী বক্তা আরও লেখেন, ‘শান্তি আর মানবাধিকার রক্ষায় আমরা নিজেরা পারস্পরিক বোঝাপড়া মজবুত না করলে, তারা এখানে কী করতে পারবে?’
এদিকে, তিন বছরের একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে জাতিসংঘের পক্ষে হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা অনুযায়ী, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সহায়তা করবে জাতিসংঘের এই দপ্তর। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা এবং সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা দেবে।
গত বছরের আগস্ট মাস থেকেই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সম্পৃক্ততা বেড়ে যায়। সংস্থাটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ, গণবিক্ষোভ দমন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কাজ করছে।
এর আগে ১০ জুলাই ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলোচিত সংগঠনটি মনে করে, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ ও সার্বভৌমত্বে হুমকি।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার (১১ জুলাই) বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :