ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

বিসমিল্লাহ না বলে জবাই করা পশু-পাখির মাংস খাওয়া যাবে?

ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ১২:৫৬ এএম
ছবি- সংগৃহীত

গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি কিংবা যেকোনো ধরনের হালাল পশু-পাখি জবাইয়ের সময় আল্লাহর নাম—‘বিসমিল্লাহ’ উচ্চারণ করা শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান।

কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর নাম না উচ্চারণ করে পশু জবাই করলে সেই পশুর মাংস খাওয়া ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী বৈধ নয়।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে পশুর ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি, তা থেকে তোমরা আহার করো না। অবশ্যই তা গোনাহের কাজ। শয়তানরা তাদের বন্ধুদের সাথে তর্ক-বিতর্কের জন্য প্ররোচিত করে। যদি তোমরা তাদের কথা মান্য করো, তবে নিশ্চয়ই তোমরাও মুশরিক হয়ে যাবে।’ (সুরা আনআম: ১২১)

তবে, যদি কোনো মুসলিম ব্যক্তি ভুলক্রমে—অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত নয়—বিসমিল্লাহ বলা বাদ দিয়ে পশু জবাই করে, তাহলে সেই পশুর মাংস খাওয়া বৈধ। ভুল করে আল্লাহর নাম না বলার কারণে জবাইকৃত পশু হারাম হয়ে যায় না।

পশু-পাখি জবাইয়ের সময় শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বললেই জবাই শুদ্ধ হয়ে যায়। যদিও ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নত ও মুস্তাহাব, তবে “বিসমিল্লাহ” বললেই শরিয়তের দৃষ্টিতে জবাই বৈধ হয়।

আনাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত- ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) দুটি সাদা-কালো রঙের ভেড়া কুরবানি করেন। তিনি ভেড়াদুটির ঘাড়ের পাশে পা রেখে “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” বলে নিজ হাতে জবাই করেন।’ (সহিহ বুখারি: ৫৫৫৮)

শরিয়তের দৃষ্টিতে, জবাইয়ের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে পশু বা পাখির মাথা সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলা মাকরুহে তাহরিমি বা গর্হিত কাজের কাছাকাছি। কারণ এতে পশুকে অপ্রয়োজনীয় কষ্ট দেওয়া হয়, যা ইসলামে নিরুৎসাহিত।

রাদ্দুল মুহতার-এ বলা হয়েছে- ‘খাবারের উদ্দেশ্যে পশু জবাইয়ের সময় অনর্থক কষ্ট যেমন—মাথা আলাদা করে ফেলা বা রক্ত পুরোপুরি নিঃসরণ হওয়ার আগেই চামড়া ছাড়ানো—এসব কাজ মাকরুহ।’

তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে মাথা আলাদা হয়ে গেলে, কিংবা জবাই করার পর এমনটি ঘটলে, সেই পশুর মাংস খাওয়া বৈধ এবং হারাম বা মাকরুহ হবে না।