মুসলমানদের কাছে জুমার দিন অপরিসীম ফজিলতের। আল্লাহ তাআলার কাছে জুমার গুরুত্ব এত বেশি যে, পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি সুরা নাজিল করা হয়েছে। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। জুমু’আহ শব্দটি আরবি। এর অর্থ একত্রিত হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া। যেহেতু, শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একটি নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ আদায় করে, তাই নামাজটিকে ‘জুমার নামাজ’ বলা হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় যাওয়ার পর একবার আনসার সাহাবিরা আলোচনায় বসেন। তারা বললেন , ইহুদিদের জন্য সপ্তাহে একটি দিন নির্দিষ্ট রয়েছে, যে দিনে তারা সবাই একত্রিত হয়। নাসারারাও সপ্তাহে একদিন একত্রিত হয়। সুতরাং আমাদের জন্য সপ্তাহে একটি দিন নির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন, যে দিনে আমরা সবাই সমবেত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করব, নামাজ আদায় করব।
অতঃপর তারা আলোচনায় বললেন, শনিবার ইহুদিদের আর রোববার নাসারাদের জন্য নির্ধারিত। অবশেষে তারা ইয়াওমুল আরুবা শুক্রবারকে গ্রহণ করলেন (সীরাতুল মুস্তাফা ও দরসে তিরমিজি)।
জুম্মার নামাজের নিয়ম
জুম্মার নামাজে দুই রাকাত ফরজ রয়েছে। এ ছাড়া ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত কাবলাল জুমা এবং পরে চার রাকাত বাদাল জুমা (সুন্নত নামাজ) আদায় করতে হয়। জোহরের নামাজের মতো ব্যক্তি চাইলে এসময় অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করতে পারে। তবে এসকল নফল নামাজ জুম্মার অংশ হিসেবে পড়া হয় না এবং তা আবশ্যকীয়ও নয় বরং ব্যক্তি তা স্বেচ্ছায় করতে পারে এবং না করলে তার দোষ হয় না।
জুম্মার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা আবশ্যিক এবং তা একাকী আদায় করার নিয়ম নেই। কুরআনে জুমার নামাজের সময় হলে কাজ বন্ধ করে নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি যুক্তিসঙ্গত কারণবশত (যেমন খুব অসুস্থ ব্যক্তি) জুম্মার আদায় করতে না পারে তবে তার ক্ষেত্রে জোহরের নামাজ আদায় করা নিয়ম।
 
তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তির ওপর, যেমন ভ্রমণকারী (মুসাফির) অবস্থায় জুমার আবশ্যকতা থাকে না এবং সেক্ষেত্রে জোহরের নামাজ আদায় করলে তা গ্রহণীয় হয়। তবে ভ্রমণকারী চাইলে জুমা আদায় করতে পারে।
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১১ টি আমল-
১। আগে আগে ঘুম থেকে উঠা।
২। বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।
৩। আগে আগে মসজিদে আসা।
৪। দোয়া করা কারণ এ দিনে দোয়া অধিক পরিমাণে কবুল হয়।
৫। কাতার ভেঙে সামনে যাওয়া নিষেধ।
৬। সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।
৭। গোসল করা।
৮। সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৯। হেঁটে মসজিদ যাওয়া।
১০। খুতবার সময় চুপ থায়।
১১। তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করা।

 
                             
                                    


 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
       -20251031183405.webp) 
        
        
        
       -20250905162745-(2)-20250919184044-20250926173705-20251010164039-20251011171436-(1)-20251017163112-(1)-20251031181224.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন