কোরবানির গরুতে সাতজন পর্যন্ত শরিক হওয়া ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। তবে শরিকদের প্রত্যেকের ভাগ যেন এক সপ্তমাংশের (১/৭) কম না হয়—এই শর্তটি বজায় রাখতে হবে। এমনকি গরুতে সাতজনের কম ব্যক্তি অংশ নিলেও তা অধিকরূপে বৈধ বলে গণ্য হবে, তবে অতিরিক্ত অংশ নফল কোরবানি হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইসলামী ফিকহ মতে, কোরবানি ঘরে থাকা অবস্থায় হোক বা সফরে, এমনকি হজের সময়ও গরুতে ভাগাভাগি করে কোরবানি দেওয়া বৈধ। এ বিষয়ে ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন, “শরীকরা যদি সাতজন অপেক্ষা কম হয়, তাহলেও তা যথেষ্ট। অতিরিক্ত ভাগ দিয়ে তারা নফল করে। যেমন যাকে ছাগল দিতে হবে, সে যদি উট দেয়, তাহলে তাও যথেষ্ট হবে। আর ছাগল থেকে যা বেশি, তা হবে নফল।’ (কিতাবুল উম্মা ২/২৪৪)
হানাফি মাজহাবের প্রসিদ্ধ আলেম কাসানী তাঁর ‘বাদায়েউস সানায়ি’ গ্রন্থে বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, গরু কিংবা উট সাতজনের কম ব্যক্তির তরফ থেকেও কোরবানি বৈধ। যেমন একটি গরু বা উটে ২, ৩, ৪, ৫ বা ৬ জন শরিক হতে পারে। যেহেতু সাত ভাগের এক ভাগ কোরবানি বৈধ, তখন তার বেশি অধিকরূপে বৈধ।’ (বাদায়েউস সানায়ি ৫/১৭)
বিশেষজ্ঞ আলেমরা মনে করেন, কেউ অর্ধেক, কেউ এক-তৃতীয়াংশ এবং কেউ এক-ষষ্ঠাংশ নিয়েও শরিক হতে পারে। তবে কারো অংশ যেন এক-সপ্তমাংশের নিচে না নামে। অন্যথায় সেই শরিকের পক্ষ থেকে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।