ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

সিডনিতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন, বনি আমিনের অভিযোগ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০৭:৩৩ এএম
সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট বনি আমিন। ছবি- সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে কমিশনের অর্থ তার অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট বনি আমিন। সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘সিডনিতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন’ শিরোনামে পোস্টে এ অভিযোগ করেন তিনি।

পোস্টে বনি দাবি করেন, ফাইল তদবির ও লবিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত কমিশনের অর্থ মাহফুজের বড় ভাই মাহবুব আলম মাহির কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছিল। তিনি আরও জানান, গত ২৪ জুলাই মধ্যপ্রাচ্য থেকে পাঠানো সাড়ে ৬ কোটি টাকার একটি লেনদেন অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা AUSTRAC-এর নজরে আসে এবং ‘অস্বাভাবিক আর্থিক কার্যকলাপের’ কারণে ওই অ্যাকাউন্টটি জব্দ করা হয়েছে।

তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা দাবি করে মাহবুব আলম মাহির পাল্টা পোস্ট দিয়েছেন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে। ‘মিথ্যা অভিযোগের জবাব’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টে তিনি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করে অভিযোগ অস্বীকার করেন।

বনি আমিন তার পোস্টে লেখেন, নবপ্রজন্মের আন্দোলনের মহানায়ক হিসেবে পরিচিত মাহফুজ এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। যেভাবে কিছুদিন আগে আলোচনায় এসেছিলেন হাতিয়ার হান্নান মাসউদ ও ‘ধরা খাওয়া’ সমন্বয়ক রিয়াদ, ঠিক তেমনই নোয়াখালীর গৌরবময় ইতিহাসের প্রতি এটা অব্যবহার।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ৯ মাস ধরে বিভিন্ন বেনিয়া প্রজেক্টের কমিশন অস্ট্রেলিয়ায় মাহবুবের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় দেশের একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার আর্থিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তার পোস্টে জাতীয় পর্যায়ে তদন্ত দাবি করে বনি বলেন, সমন্বয়কদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের আর্থিক লেনদেন, ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ বিবরণী রাষ্ট্রীয় পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা উচিত। বিশেষভাবে আলোচিত হান্নান মাসউদ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তিও তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পোস্টের এক পর্যায়ে তিনি আরও বলেন, সততা ও আদর্শিক নেতৃত্বকে রক্ষা করার সময় এসেছে। দুর্নীতির বিষবৃক্ষকে এখনই মূল থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।

এ বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় AUSTRAC কর্তৃক তদন্ত চলমান থাকলে তা আন্তর্জাতিক আইনি সহযোগিতার আওতায় পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।