ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

সিডনির অ্যাকাউন্টে লেনদেনের অভিযোগের জবাব দিলেন মাহবুব আলম

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০৭:৫৪ এএম
মাহবুব আলম মাহির ও বনি আমিন। ছবি- সংগৃহীত

বনি আমিনের আনা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহফুজ আলমের ভাই মাহবুব আলম মাহির।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগের জবাব দেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অস্বচ্ছতার গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বনি আমিন নামক ব্যক্তি ও কিছু মিডিয়ার প্রচারিত তথ্য আসলে মিথ্যা বৈ কিছু নয়।

তিনি বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাকাউন্টটি ২০২৩ সাল থেকে খোলা। আমার অ্যাকাউন্টটি এখনো সচল আছে। আমার অ্যাকাউন্টের গত ছয় মাসের বিবরণী এখানে দেওয়া হলো।

মাহির বলেন, আমার ভাই মাহফুজ আলমের পক্ষ থেকে কোনো তদবিরের কাজ আমি করিনি। কাউকে সে আজ পর্যন্ত করতেও দেয়নি। আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যবসায় বাদে আমার কিংবা আমাদের পরিবারের কোনো আর্থিক লেনদেনের ইতিহাস নেই।

আমাদের পরিবার গত ৩০ বছর ধরে ব্যবসায় জড়িত। আমার বাবা গত ১৬ বছর লীগের নিপীড়নের কারণে ঠিকমতো ব্যবসায় করতেই পারেননি। আমার বাবার ও মাহফুজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলো আমি ও আমার বাবা পরিচালনা করছি। এখানে কোনো অস্পষ্টতা নেই। সবই বাংলাদেশের আইন দ্বারা সিদ্ধ এবং পাবলিক ইনফরমেশন।

মাহির আরও বলেন, গত নভেম্বরে দেশে ফিরে (অস্ট্রেলিয়া থেকে) আসার পর থেকে অনেক তদবির আসলেও মাহফুজ কোনো কাজই করেনি। বরং, আমাদের পরিবারের সব সদস্যদের স্পষ্ট নিষেধ করা আছে, যাতে কোনো তদবির তাকে না করা হয়। তার বা আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অসংগতি কিংবা তদবির বাণিজ্যের কোনো প্রমাণ আজও কেউ দিতে পারেনি, পারবেও না। কারণ, আমরা করিনি।

বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাহির তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আমি অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেব।

এর আগে সোমবার ‘সিডনিতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন!’ শিরোনামে সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট বনি আমিন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, নবপ্রজন্মের আন্দোলনের মহানায়ক হিসেবে পরিচিত মাহফুজ, যার প্রতি অনেকেই ভরসা রেখেছিলেন, তার নাম এখন একটি বিতর্কের কেন্দ্রে।

জন্মদেশের বৃহত্তর নোয়াখালীর সন্তান, মাহফুজের নামের পাশে আজ যোগ হচ্ছে বিতর্ক, ঠিক যেমনভাবে কিছুদিন আগে আলোচনায় এসেছিল হাতিয়ার হান্নান মাসুদ ও ‘ধরা খাওয়া’ সমন্বয়ক রিয়াদ। নোয়াখালীর গৌরবময় ইতিহাস ও মর্যাদার প্রতি এই অব্যবহার আমাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তোলে।

পোস্টে তিনি লেখেন, জানা গেছে-মাহফুজের আপন বড় ভাই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করে। উচ্চতর লেখাপড়ার পাশাপাশি এখানে সে পার্টটাইম একজন নিবেদিত যাত্রী সেবক, বাংলায় বলা হয় ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’। মাহফুজের বিভিন্ন লবিং ও ফাইলিংয়ের কমিশনের অর্থ অস্ট্রেলিয়াতে তার স্টুডেন্ট ভাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছিল দীর্ঘ ৯ মাস ধরেই (Commonwealth Bank of Australia), গত ২৪/০৭/২০২৫ মিডল ইস্ট থেকে একটি সাড়ে ছয় কোটি টাকার লেনদেন অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার (AUSTRAC) নজরে আসে। অস্বাভাবিক আর্থিক এই কার্যকলাপের দায়ে তার ভাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি জব্দ করা হয়। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন, তাই বিস্তারিত আপাতত চেপে যেতে হচ্ছে।