সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মো. বাবুল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৪, ১২:৪৪ এএম

টাকার গাছ ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী, ফল ছিল ঘনিষ্ঠজন

মো. বাবুল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৪, ১২:৪৪ এএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য। নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা-আখাউড়ায় গিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় আনিসুল হক প্রায়ই বলতেন, ‘মন্ত্রী হয়ে আমার লোকসান হয়েছে। আমার আয় কমে গেছে। আগে আদালতে গিয়ে আইনজীবী হিসেবে পেশাগত কাজ করতে পারলেও এখন সেটা করতে পারি না।’

তবে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কথা ও বাস্তবতা ভিন্ন রকম। কথায় আয় কমলেও তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে দ্বিগুণ। তিনি দুটি ব্যাংকের মালিকানায় নাম লিখিয়েছেন। সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকে তার বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

যদিও স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, সিটিজেন ব্যাংকটির মালিক মূলত আনিসুল হক। তার মা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হকের নামেই ব্যাংকের অনুমোদন করানো হয়। বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর আনিসুল হক এখন জেলহাজতে আছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনিসুল হকের এক গৃহকর্মী বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ছিল টাকার গাছ। আর কসবা-আখাউড়ার স্থানীয় নেতারা ছিল ফল। অনেক নেতাকর্মীরা একসময় কোনোরকম টেনেটুনে সংসার চালাতেন। কিন্তু বছর পাঁচেক যাওয়ার পরেই একেকজন কোটিপতি।

এদিকে তার মন্ত্রিত্বকে কেন্দ্র করে আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজনসহ স্থানীয় অনেক নেতাকর্মীও বনে গেছেন শতকোটি টাকার মালিক। নিয়োগ বাণিজ্য, চোরাচালান, ক্ষমতার জোরে ভূমি দখল ও মন্ত্রীর ভয় দেখিয়েও হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। আনিসুল হককে কেন্দ্র করে কেউ কেউ শূন্য থেকে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান। ভাগ্যের চাকা যেন তাদের আলাদিনের চেরাগ।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, মন্ত্রীর খুবই ঘনিষ্ঠজন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল ও তার আপন ভাই ফোরকান আহমেদ খলিফা, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন, আনিসুল হকের পিএ মো. আলাউদ্দিন বাবু, শফিকুল ইসলাম সোহাগ বিভিন্ন দুর্নীতি ও চোরাচালান এবং চাকরি বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক পিএস রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন গত ১৪ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক জনসভায় একে অপরের মাদক সিন্ডিকেটের কথা তুলে ধরেন। ওই সভায় এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেছিলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন মাদকের সিন্ডিকেট ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা।

আরবি/জেডআর

Link copied!