মিরপুর-১০ নম্বরের ঝুটপট্টির এ ব্লকে নিজের দোকানে বসে ছিলেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার রাত তখন সাড়ে ৯টা। হঠাৎ দ্রুতগতিতে আসা একটি অটোরিকশা থেকে দোকানের সামনে পেট্রলবোমা ছুড়ে চলে যায়। স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ওই অটোতে কয়েকজন যুবক ছিল। এ ঘটনার সপ্তাহখানেক আগে দুপুরের দিকে দোকানের ফাঁক দিয়ে কেরোসিন ফিক দিয়ে চলে যায়। এসব ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীন সিকদারের পরিচয়ে ফোন দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদার দাবি করা হচ্ছে বেশ কয়েক দিন ধরে। চাঁদার টাকা না পেয়ে দুর্বৃত্তরা এভাবেই আতঙ্কে রাখছেন তাকে।
মিরপুরের আরেক ব্যবসায়ীর কাছে কয়েক দিন আগে +১ (৬১৩) ৫০৫-০১৭০ নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন ধরতেই অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে শাহীন শিকদার বলে পরিচয় দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ওই ব্যবসায়ী। এর পর থেকেই হোয়াটঅ্যাপে এসএমএস দিয়ে হত্যাসহ নানা হুমকি দিয়ে আসছে দুর্বৃত্তরা। একটি এসএমএস লেখা রয়েছে শোন, তুই তোর বউ-বাচ্চা নিয়ে খাইয়া নে। তোর অথবা তোর বউ-বাচ্চারে শেষ কইরা দিমু, দেখি তোর কোন বাবা আছে তোরে বাঁচায়। অভিযোগ রয়েছে, মিরপুরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের মালিককে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত ও কিলার ইব্রাহিমের নামে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করা হচ্ছে।
এভাবে বৃহত্তর মিরপুর এলাকার প্রতিটি সেক্টর থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীন শিকদার, শাহাদাত ও কিলার ইব্রাহিমের নামে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের চাঁদা ওঠে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এ দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত, ইব্রাহিম এবং অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীন শিকদার বিদেশে পলাতক থাকলেও দেশে থাকা তাদের এজেন্টদের দিয়ে এসব অপকর্ম করায়। মিরপুর ঝুটপট্টির বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন ও এসএমএস দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের ভয়ে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েও রেহাই মিলছে না অনেকের। কেউ বা প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝুট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঝুটপট্টির বেশ কয়েকজনের যোগসাজশে ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে চাঁদা চাইছে সন্ত্রাসীরা।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের কোনো রকম ছাড় নেই। যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। কেউ যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করে, সেটাও আমরা খতিয়ে দেখব।
দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শাহীন শিকদারের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় খুন, চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা আছে বলে জানা গেছে। চাঁদাবাজিতে শাহীন শিকদারের ৩০ সহযোগী সক্রিয় আছেন। শাহীন শিকদার ছিলেন কাফরুল এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের ডান হাত। কিলার আব্বাস কারাগারে গেলে শাহীন শিকদার সেই অবস্থানে নিজেকে পাকাপোক্ত করেন। অবশ্য গত ১৩ আগস্ট মুক্তি দেওয়া হয় ছয় হত্যাসহ ১০ মামলার আসামি আব্বাস আলী ওরফে কিলার আব্বাসকে। শুধু তা-ই নয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ৬ শীর্ষ সন্ত্রাসীর মুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে গত ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন ১৯৯৭ সালে গ্রেপ্তার ৯ হত্যাসহ ২২ মামলার আসামি শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম। ১৪ আগস্ট মুক্তি দেওয়া হয় হত্যাসহ আট মামলার আসামি সানজিদুল হাসান ইমনকে। এর আগে ১২ আগস্ট জামিনে বের হন খোরশেদ আলম রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল। রাসুর বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যাসহ মামলা ১৩টি। আর হত্যাসহ আট মামলার আসামি পিচ্চি হেলাল। একই দিন জামিন পান ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর ২ নম্বরে থাকা টিটন। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তি ঘিরে জনমনে বাড়ছে শঙ্কা। এ ছাড়া শাহীন শিকদার হলো পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড। ইন্টারপোলের রেড নোটিশপ্রাপ্ত শাহীন এখন ভারতে পলাতক। বিদেশে পালিয়ে থেকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে এলাকা। তার কথা না শুনলেই গুলি করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বাহিনীর সদস্যরা।
এলাকাবাসী এবং আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। শাহীন বাহিনী সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মেহেদী, রমজান, জামাল মোল্লা, স্টিল বাবু, গোল কাসেম, বল্টু রাশেদ, সোহেল, লম্বা মাসুদ, নোমান, ময়লা মাসুদ, খোকন প্রমুখ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বৃহত্তর মিরপুর এলাকার স্থাপনা নির্মাণ, ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী, জমি ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, পোশাক কারখানা, বাড়ির মালিক, উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী, চিকিৎসক, ছোট-বড় ব্যবসায়ী, বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতাল, বস্তি, স্থায়ী-অস্থায়ী বাজার, ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজির ভাগ, ঠিকাদার, এমনকি মাদক ব্যবসা থেকেও চাঁদা নেয় শীর্ষ সন্ত্রাসীরা।
মিরপুর এলাকায় শাহাদাত ও ইব্রাহিমের আলাদা অন্তত ২০টি গ্রুপ আছে। প্রতি গ্রুপেই ১০ থেকে ১২ জন করে সদস্য আছে। তারা প্রত্যেকেই আগ্নেয়াস্ত্র বহন করে। হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখে। গ্রুপের মাধ্যমেই বিদেশ থেকে আসে নির্দেশনা। গ্রুপের সদস্যরা প্রথমে টার্গেট করা ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অর্থ-সম্পদের খোঁজখবর নেয়। পরে ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। নম্বর পাঠানো হয় বিদেশে। সেখান থেকে ফোন দেয় শাহীন সিকদার, শাহাদাত ও ইব্রাহিম। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ও এদের সন্ত্রাসী গ্রুপের জন্য প্রতি মাসে চাঁদার টাকা আলাদা করে রাখেন টার্গেট ব্যক্তিরা।
দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় গত মাসে লতিফ নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। যার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে রূপালী বাংলাদেশের কাছে।
শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীন শিকদারের চাঁদা চাওয়ার কয়েকটি অডিও কল রেকর্ড, হোয়াসঅ্যাপে এসএমএস ও চাঁদা না পেয়ে কুপিয়ে জখমের ভিডিও চিত্র রয়েছে এ প্রতিবেদকের কাছে।
ত আদ্যাক্ষরের এক ব্যবসায়ীকে শাহীন শিকদারের হুমকির একটি রেকর্ডিংয়ে শোনা যায় ‘শোন, তোদের মতো সেয়ানরাই কিন্তু মরে। লতিফরে কয়বার ঘটনা করছি তুই ভালো করে জানিস। তোর ব্যাপারটা আমি খুব সিরিয়াসভাবে মাথায় নিছি। তোর কোনো বাপ তোকে রক্ষা করতে পারবে না। রহমানের লগে আব্বাসে ১০-১৫ জন করে দিছিল বাসায় নিয়ে যাওয়া-আসার জন্য। তুই কত দিন লগে লোক লইয়া ঘুরবি। তোর প্রতিটা সেকেন্ডের খবর আমার কাছে আসে। অপর এক রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, তোর সামনে খুব ভয়ংকর অবস্থা। যারা তোরে এখন মাথায় তুলে রাখতেছে, তারা কিন্তু কেউ তোর পাশে থাকবে না। তুই মইরা গেলে দেখতেও যাবে না। লতিফের তিনবার ঘটনা হইছে। একবার ওর বউর, তারপর ওর গোডাউনে, এরপর ওর নিজের বিপদ হইছে। আর তোর মাত্র শুরু, তুই চিন্তা করিস না। যেকোনো সময় তুই শেষ হয়ে যাবি।’
মিরপুর ঝুটপট্টির ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী জানান, গত দুই মাস ধরে শাহীন সিকদার পরিচয় দিয়ে +১(৬১৩)৯১৭৭৯৯৬, +১(৬১৩)৫০৫০১৭০, +৭৪৯১২৫৩, ০১৯৭৮৩২৪৩০৩ ও ০১৯৫৯৭৪১৩৮৫সহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফোন নম্বর থেকে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করতেছে। অনাদায়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
ওই ব্যবসায়ী বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে ও আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমাদের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। যার কারণে ভয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। দুর্বৃত্তদের ভয়ে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে।
জানা গেছে, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী র্যাব-৪, মিরপুর মডেল থানা ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেছেন। তবে কোনো সুরাহা মেলেনি।
ঝুটপট্টির এ ব্লকে ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। দুর্বৃত্তরা চাঁদা না পেয়ে দোকানের সামনে পেট্রল ও কেরোসিনের বোতলে আগুন দিয়ে ফেলে যায়। বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন আসে। ভয়ে এখন আর ফোনও ধরি না।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, দুর্বৃত্তরা চাঁদা চাওয়ার পর মার্কেট সভাপতির ভাই মোতালেব, শামিম ও বাদশাসহ বেশ কয়েকজন মিডিয়া হিসেবে কাজ করে চাঁদার পরিমাণ কমিয়ে দেন। তাদের সন্দেহ এরাই ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে সন্ত্রাসীদের নাম-নম্বর দিয়ে থাকেন। তবে এ বিষয়ে রূপালী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
মিরপুরের আ অদ্যাক্ষরের এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি একসময় জুটের ব্যবসা করতেন। কিন্তু সেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন অনেক বছর আগে। তারপরেও চাঁদাবাজদের হুমকি থেকে রক্ষা মেলেনি। সম্প্রতি তারা ২০-২৫ জন মিলে যৌথ মালিকানায় মিরপুর-১০ এলাকায় একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে তার কাছে।
ওই ব্যবসায়ী জানান, ৫ আগস্টের পর বিষয়টি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।ওরা কাউকেই পাত্তা দিচ্ছে না। বিদেশি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ বলে, মামলা করেন। মামলা করতে গেলে তো নিজের ওপর হুমকি আরও বেশি বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, মিরপুর ভাসানটেকে যত অপকর্ম হয়, সবই করে কিলার ইব্রাহিমের লোকে। একটি শিশু জন্মগ্রহণ করলেও ইব্রাহিমের কাছে খবর চলে যায়। প্রতিটি সেক্টর থেকে চাঁদা তোলা হয় তার নামে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, রাজধানীতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমাদের নজরদারি রয়েছে। যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে বের হচ্ছে, তারা যাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে না পারে, সে জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। তারা যদি আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝুটপট্টিসহ মিরপুর এলাকায় পালতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরাও বিচ্ছিন্নভাবে এসব অভিযোগ শুনতেছি। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ওইসব এলাকায় কারা জড়িত, কারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে এসব বিষয় আমাদের মনিটরিংয়ের মধ্যে আছে। আশা করছি, আস্তে আস্তে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, জামিনে থাকা অপরাধীদের নজরদারিতে রাখতে বলা হয়েছে বিশেষায়িত ইউনিটগুলোকে।
পুলিশ সদর দপ্তর এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, জামিনে থাকা জঙ্গি এবং অন্য অপরাধী ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যেন কোনো ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য তাদের ওপর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো নজর রাখছে। তারা যদি কোনো অপরাধ করে তাহলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে।

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন