এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শীর্ষ সন্ত্রাসী, দাগি আসামি, চাঁদাবাজ ও দুর্ধর্ষ জঙ্গি দমনে সাফল্যের মধ্য দিয়ে একসময়ে আস্থার প্রতীক ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই চৌকস বাহিনী নিজেরাই আজ বিচারের কাঠগড়ায়।
জোরপূর্বক গুম ও কথিত ক্রসফায়ারসহ (বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। এর মাত্র পাঁচ দিন আগে একই সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তারও আগে গত মাসে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে খোলা চিঠি দিয়ে একই দাবি জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এমন বাস্তবতায় সর্বত্র প্রশ্ন তবে কি প্রতিষ্ঠার ২০ বছরের মাথায় বিলুপ্ত হচ্ছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে পড়া র্যাব? নাকি শেষ পর্যন্ত নাম ও পোশাক পালটিয়ে ব্যাপক সংস্কার করে নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরকার গঠিত কমিশন ও যাদের শাসনামলে গঠন হওয়া সেই বিএনপিই যখন বিলুপ্তি চায়, তাতে করে বিলুপ্তির পথেই এ বাহিনী। তবে একটি বাহিনী বিতর্কিত, সমালোচিত হওয়ার দায় শুধু তাদের নয়। বিগত সরকারের আমলে যথেচ্ছ রাজনৈতিক অপব্যবহার ও অপরাধকাণ্ডে প্রশ্রয় দেওয়াই এ ক্ষেত্রে মূলত দায়ী। কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশের ওপর নির্ভর করছে এর ভবিষ্যৎ।
পুলিশের বিশেষায়িত এই বাহিনীর দ্বারা সন্ত্রাস দমনসহ হাজারো ভালো কাজে সুনাম কুড়ানোর পাশাপাশি রয়েছে ব্যাপক সমালোচনাও। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন, আয়নাঘরে বা গুমঘরে (গোপন বন্দিশালা) বছরের পর বছর আটকে রাখা, চিরতরে নিখোঁজ করে ফেলা, টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কথিত বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের অডিও ফাঁসসহ বহু ক্রসফায়ার, ঝালকাঠির কলেজছাত্র লিমন হোসেনকে গুলি করে পঙ্গু করে দেওয়াসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এই সংস্থা জড়িত থাকায় সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
মানবাধিকারকর্মী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে ও কতিপয় কর্মকর্তার অতিউৎসাহে গুম, খুনসহ গুরুতর বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় জড়িয়েছে র্যাব। এতে দেশে-বিদেশে যেভাবে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে, তাতে বাহিনী বিলুপ্ত না করে উপায় নেই। 
তবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হলেও সম্পূর্ণ বাহিনীকে বিলুপ্ত করার প্রশ্নে দ্বিমত রয়েছে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। তাদের কেউ কেউ মনে করেন, অনেকে বিলুপ্তিকেই সমাধান মনে করলেও বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটা খুব কার্যকর না। বরং জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে র্যাবকে সংস্কার করে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি স্থায়ী বাহিনী হিসেবে পুনর্গঠন হতে পারে। যেখানে বাহিনী সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, সেখানে ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হলে সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে বা শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা বিলুপ্ত করার জন্য খুব সংগত কারণ না বলে মনে করেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা।
এদিকে বিলুপ্তির সুপারিশ ও দাবির মধ্যে আয়নাঘর, গুম-খুনের অভিযোগের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক মতবিনিময় সভায় দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে র্যাবপ্রধান বলেন, দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের সার্বিক কল্যাণে র্যাবের ব্যাপারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। অতীতের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার প্রত্যাশা করেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের গুম-খুন কমিশন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ ধরনের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারকাজের মধ্য দিয়েই র্যাবের দায়মুক্তি সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, র্যাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করা হয় এবং প্রমাণিত হলে কঠোর বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৮ জন কর্মকর্তাসহ চার হাজার ২৩৫ জন র্যাব সদস্যকে শৃঙ্খলাবহির্ভূত কার্যক্রমের জন্য লঘুদণ্ড ও গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গুমের অভিযোগ ও আয়নাঘরের বিষয়ে গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে।
এর দুদিন পরই গত শনিবার গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন (দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে দেশে জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার পাশাপাশি তার প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা মেলে কমিশনের তদন্তে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশও করেছে কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, কমিশনপ্রধান সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, তারা তিন মাস পর মার্চে আরও একটি ইন্টেরিম বা অন্তর্বর্তী রিপোর্ট দেবেন। কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে।
এর আগে গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে গুমসংক্রান্ত কমিশনের সদস্যরা জানান, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৬০০-এর বেশি অভিযোগ পেয়েছেন তারা। এর মাঝে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে সর্বোচ্চ ১৭২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে র্যাবের বিরুদ্ধে। গুম-খুন সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবদিহিতার কাজও শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশনের সভাপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
অন্যদিকে গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, র্যাবের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে আমাদের কমিটি র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে। এই বাহিনী ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটিরও এর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রেক্ষাপটে র্যাবকে বিলুপ্ত করে সেই দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও থানা পুলিশ যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমন ও আইনশৃঙ্খলা-নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) রমজানের কারণে চলতি বছরের মার্চ মাসে ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই বাহিনী বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের (২৬ মার্চ) প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। প্রায় তিন সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) রমনা বটমূলে নিরাপত্তা দিয়ে র্যাব তাদের কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের ২১ জুন পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে বাহিনীটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে র্যাবের জনবল ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যা। বর্তমানে সারা দেশে এই এলিট ফোর্সের ব্যাটালিয়নসংখ্যা ১৫। যেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাই করা চৌকস কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
বাহিনীটির যাত্রার পর অনেক ক্ষেত্রে অপরাধ কার্যক্রম কমে আসা এবং ‘ক্রসফায়ারের’ নামে সন্ত্রাসীদের দমন প্রথমদিকে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে সেই ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধ নিয়েই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে শুরু করে।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের তথ্যানুসারে, বিএনপির শাসনামলে ২০০৪ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে র্যাবের ক্রসফায়ারে প্রায় ৩৮০ জন নিহত হয়। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বিভিন্ন সময় কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক হলেও মূলত দুটি ঘটনা র্যাবকে বড় বিতর্কের মুখে ফেলে দেয়। একটি ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যাবের সম্পৃক্ততা। অন্যটি ২০১৮ সালে টেকনাফের একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্রসফায়ারের অডিও ফাঁস। এ ছাড়া সর্বশেষ কমিশনের তদন্তে উঠে আসা সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করা বা আটকের রাখার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে র্যাব।
এ ছাড়া অর্থের বিনিময়ে ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ঘুষ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন আসতে থাকে। তবে বড় একটা ধাক্কা আসে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, যখন ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব এবং এর ঊর্ধ্বতন ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার পর থেকে র্যাবের ক্রসফায়ার অনেকটাই কমে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের বেসরকারি সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে, র্যাব ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৬০০টির মতো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ৬০০ জনের বেশি মানুষের অদৃশ্য (গুম) হয়ে যাওয়া এবং নির্যাতনের জন্য দায়ী।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা মনে করেন, যেখানে র্যাব সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, সেখানে ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হলে সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে বা শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা বিলুপ্ত করার জন্য খুব সংগত কারণ না। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি অনুযায়ী নাগরিক স্বাধীনতা বা অধিকারের জায়গা অক্ষুণ্ন রেখে বাহিনীর ওপর সঠিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই বাহিনীটিকে কার্যকর করা সম্ভব।
একইভাবে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদা আক্তারও মনে করেন, বিশেষায়িত বাহিনী র্যাব কিংবা অন্য যেকোনো বাহিনী বিলুপ্ত করার চেয়ে সবচেয়ে জরুরি এর সংস্কার করা। অনেকে বিলুপ্তিকেই সমাধান মনে করলেও আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটা খুব কার্যকর না। বরং যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসব যাতে আর না ঘটে এবং যে উদ্দেশ্য নিয়ে বাহিনী গঠন করা হয়েছিল, সে উদ্দেশ্য সাধনে বাধার জায়গা চিহ্নিত করে গঠনগত পরিবর্তন, প্রশিক্ষণ, সেবার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাটা বেশি জরুরি।

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন