মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সৈয়দ মুহাম্মদ আজম

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ১০:২৭ পিএম

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে ‘কপাল খুলছে’ আরবদের?

সৈয়দ মুহাম্মদ আজম

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ১০:২৭ পিএম

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে ‘কপাল খুলছে’ আরবদের?

গ্রাফিক্স : রূপালী বাংলাদেশ

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথম বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্য যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ, ইয়েমেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি, ইউক্রেন-রাশিয়া, সিরিয়া, সুদান, ভারত-পাকিস্তান, চীন-তাইওয়ানসহ অসংখ্য আঞ্চলিক সংঘাতের মধ্যে তার এই সফর বেশ গুরুত্ব বহন করছে। 

এ সফরে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার থেকে ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত চুক্তি নিশ্চিত করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের এ সফর মূলত ২০১৭ সালে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফরের পুনরাবৃত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সে সময় তাকে এ অঞ্চলে একজন বাণিজ্যিক নেতা হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছিল। 

তিনটি জ্বালানি-সমৃদ্ধ উপসাগরীয় আরব দেশের সঙ্গে তেল ও বাণিজ্য, বিনিয়োগ চুক্তি, ইসরায়েল-গাজা ও ইয়েমেনের আঞ্চলিক দ্বন্দ্বের ইস্যু এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনাসহ অন্যান্য বিষয়ের ওপর আলোকপাত করবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য হলো এ অঞ্চল সফর শেষে বলা যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে রেখেছেন।

সৌদি আরবের শায়বাহের খালি কোয়ার্টারে আরামকোর তেলক্ষেত্রের এক অপূর্ব দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবের শায়বাহের খালি কোয়ার্টারে আরামকোর তেলক্ষেত্রের অপূর্ব দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো স্টিভেন এ কুক মনে করেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) স্পষ্টতই একাধিক বহু-বিলিয়ন চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। পররাষ্ট্রনীতির প্রতি ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি হলো তার অর্থনৈতিক রাষ্ট্রীয় কৌশল দিয়ে উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করা, যেন তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত (বাধ্য) হয়। এ জন্য তার শুল্কনীতি টোটকা হিসেবে বেশ ভালোই কাজ করেছে।’

আবার অনেকের মতে, জ্বালানি-সমৃদ্ধ উপসাগরীয় তিন আরব দেশ মার্কিন প্রভাবকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে। তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও গড়ে তুলেছেন। সম্মিলিতভাবে মার্কিন বিনিয়োগে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। একই সঙ্গে গাজা থেকে ইউক্রেন ও ইরান পর্যন্ত ট্রাম্প যে সংঘাতের সমাধান করতে চান, সেখানে নিজেদের মূল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে।

বাহরাইনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য নীতির জ্যেষ্ঠ ফেলো হাসান আল-হাসান বলেছেন, ‘ট্রাম্প তার নীতিতে উপসাগরীয় দেশগুলো সব ঠিকঠাক করে তুলছেন। তারা মার্কিন অর্থনীতিতে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ও মার্কিন অস্ত্র ব্যবস্থায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার অঙ্গীকার করেছে।’

৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ট্রাম্পকে নিজেদের দেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ‘জীবনের একবারই আসা সুযোগ’ বলে অভিহিত করেছিলেন উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্মকর্তারা। তাদের দৃষ্টিতে এখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি হলো।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির আকাশরেখায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক আকাশচুম্বী ভবন। ছবি: সংগৃহীত

অর্থাৎ ট্রাম্প যে তিন দেশ সফর করছেন তাদের প্রত্যেকটিরই বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রটির কাছে নিজস্ব প্রত্যাশা রয়েছে। তারা ওয়াশিংটনের কাছে কী চায় এবং কীভাবে সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে যাচ্ছে, সেটাই এখন আলোচনার মূল বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। 

মার্কিন-সৌদি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর

ট্রাম্পের এই সফরে সৌদি আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি চাওয়া হলো ‘নিরাপত্তা’। উপসাগরের স্থিতিশীলতার জন্য মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির আশ্বাস খুঁজছে আরব রাষ্ট্রগুলো। তবে যেকোনো বিষয়ের ওপর ট্রাম্পের যেমন তীব্র আগ্রহ রয়েছে, তেমনি দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলার জন্যও তিনি বেশ পরিচিত। তাই এই তিন দেশ তাকে নিজেদের প্রতি ব্যস্ত রাখতেই বেশি মনোযোগী।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব একটি যুগান্তকারী প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল। কিন্তু ইসরায়েল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে পুরোপুরি দখল করতে যাচ্ছে দাবি করে চুক্তিটি স্থগিত করে রিয়াদ। তবে এবার ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরে যদি কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তাহলে তেল আবিবের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্কও স্বাভাবিকীকরণে অলিখিতভাবে বৈধতা পেয়ে যাবে বলে মনে করছেন ইউরেশিয়া গ্রুপের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরাস মাকসাদ।

এ ছাড়াও রিয়াদ একটি বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তোলার জন্য মার্কিন সহযোগিতাও চাইছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ওপর জোর দেওয়ার কারণে তা আটকে আছে। কারণ পারমাণবিক অস্ত্রের সম্প্রসারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তেল আবিবের আশঙ্কা, উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ কর হলে ইউরেনিয়াম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হতে পারে। 

তবে গত বছরের অক্টোবরে এক বৈঠকে রিয়াদ দেখিয়েছিল, সৌদি পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য হোয়াইট হাউস সমর্থন করলে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলো লাভজনক চুক্তি পেতে পারে। অর্থাৎ ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ককে রিয়াদ ‘লাভজনক’ হিসেবে উপস্থাপন করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

চলতি বছরের গত মার্চ মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, সৌদি আরব যদি যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে তবে তিনি সফরে যাবেন। যদিও এখন পর্যন্ত সৌদি আরব সংখ্যাটি নিশ্চিত করেনি। তবে জানুয়ারিতে তারা চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যার ফলে আরও বেশি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

কিন্তু খনিজ তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে হলেও রিয়াদের এখনো তেল বিক্রি অব্যাহত রাখা জরুরি। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমাতে আগ্রহী।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আধিপত্য চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত

অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করা ও বিনিয়োগের রিটার্ন নিশ্চিত করার কৌশল অগ্রাধিকার দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ জন্য বিনিয়োগ করার মতো পর্যাপ্ত অর্থও রয়েছে তাদের। এরই মধ্যেই আবুধাবি নিজেকে ‘ক্যাপিটাল সিটি বা মূলধনের রাজধানী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশটি মার্কিন বিনিয়োগে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কাতারের রাজধানী দোহার দক্ষিণ-পশ্চিমে আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে একটি মার্কিন বিমান। ছবি: সংগৃহীত

আবুধাবিতে অবস্থিত এমিরেটস পলিসি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবতেসাম আল কেতবি বলেন, ‘এই প্রতিশ্রুতি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের কৌশলগত অংশীদারত্বকে শক্তিশালী করার একটি উপায়। যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা গ্যারান্টার হিসেবে রয়ে গেছে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি উপসাগরীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সুযোগ এবং সক্ষমতায় পূর্ণ গতিশীল অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করে।’

গত মার্চ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ১০ বছরের জন্য ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), সেমিকন্ডাক্টর, উৎপাদন ও জ্বালানি খাত। 

ওয়াশিংটনে অবস্থিত দেশটির দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, তাদের বিদ্যমান মার্কিন বিনিয়োগ এরই মধ্যেই ১ ট্রিলিয়ন ডলার।

দেশটির প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এআই ও উন্নত প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী হওয়ার জন্য ‘জীবনের একমাত্র সুযোগ’ পেয়েছে। ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি... ভবিষ্যতে দেশের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হাইড্রোকার্বনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কাটিয়ে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্য করে তোলার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কাতারের বৈশ্বিক কূটনীতি

উপসাগরীয় দেশ হিসেবে কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করছে। এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। এটির নাম আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি। যাকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ অঞ্চলে তাদের সামরিক অভিযানের জন্য ‘অপরিহার্য’ বলে মনে করে।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে একটি চুক্তি করে চুপচাপ। এতে কাতারস্থ ঘাঁটিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি আরও ১০ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১৯৯২ সালের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিতেও সংশোধন আনা হয়। নতুন চুক্তিতে দু’দেশের নিরাপত্তা অংশীদারত্ব আরও জোরদার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২২ সালে বাইডেন প্রশাসন কাতারকে একটি প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র হিসেবেও মনোনীত করেছিল। এ স্বীকৃতি মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কৌশলগত কার্যকরী সম্পর্কযুক্ত ঘনিষ্ঠ মিত্রদের দেওয়া হয়। গাজা যুদ্ধ থেকে শুরু করে আফগানিস্তান পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সংঘাতে কাতার গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ওয়াশিংটনের দৃষ্টিতে প্রাসঙ্গিক থাকার প্রচেষ্টার অংশ।

আল-হাসানের মতে, ‘উপসাগরীয় দেশগুলো সংঘাতের মধ্যস্থতাকে প্রভাব ও প্রতিপত্তির উৎস হিসেবে দেখে। ট্রাম্পের রাজনৈতিক এজেন্ডার জন্য নিজেদের অপরিহার্য অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাতার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের ভূমিকা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে।’

সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে দোহা। আল-শারা তার দেশের ওপর আরোপিত দীর্ঘদিনের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে চেষ্টা করছেন।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প যখন সফর করবেন তখন কাতার সিরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উত্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিজার আইনের অধীনে সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য দোহা ট্রাম্প প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে। ওয়াশিংটনের সুদৃষ্টি ছাড়া সিরিয়াকে কোনো আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে কাতার সতর্ক রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এ সফর মূলত তিনটি উপসাগরীয় রাষ্ট্র থেকে তিনি কী পেতে পারেন তার ওপর নির্ভর করছে। তিনটি দেশের প্রত্যেকেই নতুন চুক্তির প্রত্যাশা করছে, যা উভয় পক্ষকেই লাভবান করবে। 

মাকসাদ বলেন, ‘তিনি এখানে আসছেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের সঙ্গে এই চুক্তিগুলো করা হবে মার্কিন অর্থনীতির স্বার্থে। এমনকি তার ও আশপাশের লোকজন স্বার্থও এতে সংশ্লিষ্ট। তাই বড় ঘোষণার প্রত্যাশা করতে বলেছিলেন ট্রাম্প।’

Link copied!