রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সুলতান মেহেদী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ১২:২১ পিএম

এলজিইডির অপারেটর বাকেরের অঢেল সম্পদ

সুলতান মেহেদী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ১২:২১ পিএম

এলজিইডির অপারেটর বাকেরের অঢেল  সম্পদ

রাজধানীর আগারগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের একজন কম্পিউটার অপারেটর ও স্টেনো পদে চাকরি করে অবৈধভাবে ঘুষ, দুর্নীতি, তদবির ও বদলির বাণিজ্য, সাবেক সরকারের চামচামি করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

এলজিইডির অফিসের সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটে কর্মরত মো. বাকের আহমেদ হলেন সেই ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি (অভিযোগকারী) তার বিরুদ্ধে গত ১৯ সেপ্টেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) কার্যালয়ে লিখিতভাবে ঘুষ, বদলি ও তদবির বাণিজ্য সম্পর্কে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। 

অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কম্পিউটার অপারেটর (বাকের) দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে মানুষদের কাছে বিভিন্নভাবে পরিচিত হন। পরিচয়ের সুবাদে তিনি এলজিইডি অফিসের সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটে চাকরি করার সুবিধার্থে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলির বাণিজ্য, তদবির, ঘুষ ও দুর্নীতি করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, তিনি ওই অফিসে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চামচামি করে মানুষকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এমনকি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নাম ভাঙিয়ে ও এলজিইডির সাবেক অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম বাবুর ক্ষমতা ব্যবহার করে এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবেই তিনি অটেল সম্পদের মালিক হয়ে যান।

এ ছাড়া তিনি আগারগাঁও এলাকার আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে এসব দুর্নীতি, ঘুষ, বদলি বাণিজ্য ও তদবির বাণিজ্য করতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক এবং অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখিয়েই মূলত এসব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বাকের আহমেদ। তিনি বর্তমানে পশ্চিম আগারগাঁও শাপলা হাউজিংয়ের ২১৩/৯/এ নম্বর বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। এলজিইডির সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করে আরও জানান, একজন কম্পিউটার অপারেটর ও স্টেনো পদে চাকরি করে এত অর্থসম্পদের মালিক কীভাবে হলো। তিনি এত ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী হয়ে মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। অবৈধভাবে অর্থ ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তিনি হয়ে গেছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ।

এমনকি অবৈধভাবে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার অর্থসম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। দুদকে লিখিত অভিযোগ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায়, তার ও তার পরিবারের নামে-বেনামে সম্পদের বিবরণগুলো হলো, পশ্চিম আগারগাঁওয়ে শাপলা হাউজিংয়ের ২১৩/৯/এ নম্বর বাড়িটি তিনি কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে পঞ্চম তলা ভবন নির্মাণ করেছেন।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুর এলাকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে গৃহায়ণের কাছ থেকে একটি প্লট বাগিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি মোহাম্মদপুর সিটি, উত্তরা ও সাভারসহ বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে জমি ক্রয় করেন।

এ বিষয়ে জানতে বাকের আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ওই বাড়ি ছাড়া আমার আর কিছু নেই। আপনাদেরকে আর কিছু বলতে পারব না। আর অভিযোগকারীরা জানান, বাকের আহমেদ ও তার পরিবারের বিষয়টি তদন্ত করলে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।

আরবি/জেআই

Shera Lather
Link copied!