চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে স্পেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দেখা গেছে রেকর্ডসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি। আর এমন ঐতিহাসিক দিনে দেখা গেছে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। বার্সেলোনা-ইন্টার মিলানের মধ্যকার এ লড়াই শেষ হয়েছে ৩-৩ স্কোরলাইনে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বার্সার ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শক হাজির হয়েছেন ৫০ হাজার ৩১৪ জন, যা চলতি মৌসুমে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ। এর বেশির ভাগ দর্শক যে বার্সেলোনার।
এদিন সমর্থকদের স্তব্ধ করে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই বার্সার জালে বল পাঠায় ইন্টার মিলান। দৃষ্টিনন্দন ব্যাক হিল গোলে দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম, যা চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম।
পিছিয়ে পড়া বার্সা যখন ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই স্কোরলাইন দ্বিগুণ করে ইন্টার মিলান। ম্যাচের ২০তম মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল দুর্দান্ত এক ভলিতে জালে জড়ান ডিফেন্ডার ডামপ্রিস।
তবে পিছিয়ে পড়ে বার্সা হতোদ্যম হয়ে পড়েনি। বার্সার হয়ে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নামা লামিন ইয়ামাল একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে হতভম্ব করে দেন ইন্টার রক্ষণভাগকে।
ম্যাচের ২৪তম মিনিটে ইন্টারের পাঁচজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জটলার ভেতর থেকে দুর্দান্ত এক শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
গোল করার ঠিক ৫ মিনিটের মধ্যে গোল অভিমুখে আরও একটি শট নেন ইয়ামাল। তবে এ যাত্রায় ইন্টারকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক ইয়ান সোমার।
ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে বার্সাকে সমতা এনে দেন তরুণ ফেরান তরেস। রাফিনিয়ার বাড়ানো বল ডান পায়ের ছোঁয়া দিয়ে ইন্টারের জালে পাঠান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-২ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৪তম মিনিটে ইন্টার মিলানকে আরেক দফায় এগিয়ে দেন ডামপ্রিস। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে কোনো ডাচ ফুটবলারের এক ম্যাচে তিনটি গোলে সংশ্লিষ্টতা এই প্রথম।
তবে ডামপ্রিসের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুই মিনিটের মধ্যেই আবার সমতা নিয়ে আসে বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার রকেট গতির শট ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে আসার সময় ইন্টার গোলকিপার ইয়ান সোমারের পিঠে লেগে জালে প্রবেশ করে। স্কোরলাইন হয় ৩-৩।
শেষ পর্যন্ত এই সমতাতেই শেষ হয় নব্বই মিনিটের গোল। ফাইনালিস্ট নির্ধারণ হবে আগামী সপ্তাহে সান সিরোয় দ্বিতীয় লেগে।
আপনার মতামত লিখুন :