বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরে গেলেও, এই সফরের শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে পাকিস্তান। একই ভেন্যুতে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল টাইগাররা।
মাসদুয়েক আগে লাহোরে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতেছিল পাকিস্তান। দুই দেশের মাটিতে ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পর পাকিস্তানের প্রধান কোচ মাইক হেসন তার দলের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
গত মে মাসে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া ৫০ বছর বয়সী হেসন। সালমান আলী আঘার দলের সাথে এখন পর্যন্ত দুটি সিরিজ খেলেছেন।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই সিরিজগুলো নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করে হেসন লেখেন, বর্তমানে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা অবস্থায় আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে গভীরতা ও প্রতিযোগিতা তৈরি করতে হবে।
পাশাপাশি এমন একটি ক্রিকেটের ধরনে খেলতে হবে, যা আমাদের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে আরও ধারাবাহিকতা দিতে পারে।
ভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মে-জুনে খেলা তিনটি ম্যাচেই স্বাগতিক দল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল। প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ২০১ ও শেষ ম্যাচে ১৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ১৬ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়।
তবে বাংলাদেশ সফরে মিরপুরের ভিন্ন পিচ তাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। প্রথম ম্যাচে ১১০ ও পরের ম্যাচে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। দুটি ম্যাচেই হার দেখে তারা।
শেষ ম্যাচে অবশ্য প্রথমে ব্যাট করে ১৭৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ৭৪ রানের জয় নিয়ে ফেরে।
দুই দেশের দুটি ভিন্ন মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে হেসন বলেন, দুটি ভিন্ন ধরনের পিচে প্রথম ছয়টি ম্যাচ খেলে আমরা মূল্যবান বার্তা পেয়েছি। তরুণদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপ শুরুতে ২০০+ রান করে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
তবে টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে কম রানের ভেন্যু মিরপুর আমাদের অভিযোজনক্ষমতা পরীক্ষা করেছে। শুরুতে আমাদের লড়াই করতে হয়েছে, পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে শেখার সামর্থ্য দেখিয়েছি।
ফিল্ডিংয়ে উন্নতি ও ভবিষ্যতের লক্ষ্য
দলের ফিল্ডিং নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পাকিস্তান কোচ বলেন, শেষ দুই ম্যাচে আমরা ফিল্ডিংয়ে অনেক উন্নতি করেছি। আমাদের খেলা এখন আন্তর্জাতিক ফিল্ডিং দলের মতো হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিনই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের আসন্ন সফরের দল ঘোষণা করেছে।
জুলাইয়ের শেষ থেকে আগস্টের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তিন ম্যাচের দুটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে সালমান আলী আঘার দল।
ম্যাচগুলো যুক্তরাষ্ট্রের লডারহিলে গড়াবে, যার প্রথমটি ৩১ জুলাই।
আপনার মতামত লিখুন :