ক্রিকেট ইতিহাসে ২৭ জুলাই নানা কারণে স্মরণীয়। এই দিনে জন্ম নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। একই সঙ্গে ঘটেছে অনেক ঐতিহাসিক কীর্তি ও রেকর্ড।
চলুন ফিরে দেখা যাক আজকের দিনে ঘটে যাওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটীয় মুহূর্ত।
অ্যালান বোর্ডারের জন্ম (১৯৫৫)
অজি কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ও সফল অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার জন্মগ্রহণ করেন এই দিনে। ১৯৭৮ সালে ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেটের সময়ে অস্ট্রেলিয়ার দলে সুযোগ পান তিনি।
তিনি ছিলেন দলের ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ এবং নেতৃত্বে এনেছিলেন স্থিতি ও সাফল্য। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ জয় এবং ১৯৮৯ সালের অ্যাশেজ জয় তার নেতৃত্বগুণের প্রমাণ দেয়।
১৫ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন ১৫৬টি রান করেছেন (১১,১৭৪), ক্যাচ (১৫৬) এবং অধিনায়ক হিসেবে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ড গড়েন।
গ্রাহাম গুচের ৩৩৩ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস (১৯৯০)
১৯৯০ সালে লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে খেলায় ইংল্যান্ড ব্যাটার গ্রাহাম গুচ খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস—৩৩৩ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন ১২৩ রান।
এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় একটি ম্যাচে ট্রিপল সেঞ্চুরি এবং সেঞ্চুরি করেন। ইংল্যান্ড জেতে ২৪৭ রানে।

জন্টি রোডসের জন্ম (১৯৬৯)
দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা ফিল্ডারদের অন্যতম জন্টি রোডস জন্মগ্রহণ করেন এই দিনে। ১৯৯২ বিশ্বকাপে তার দুর্দান্ত রান-আউট (ইনজামাম-উল-হক) ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়।
তিনি ছিলেন দুর্দান্ত ব্যাটারও। ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক সূচির চাপে টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে একদিনের ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন।
আর ২০০৩ বিশ্বকাপে চোটের কারণে অবসর নেন।
টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান একদিনে (১৯৩৬)
১৯৩৬ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে টেস্টে এক দিনে রেকর্ড ৫৮৮ রান হয়। ইংল্যান্ড তোলে ৩৯৮, আর ভারতীয় ওপেনার মুশতাক আলি ও বিজয় মার্চেন্ট শেষ বিকেলে ১৯০ রানে অপরাজিত থাকেন।
ডন ব্র্যাডম্যানের শেষ টেস্ট শতক (১৯৪৮)
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান তার শেষ টেস্ট শতক করেন এই দিনে হেডিংলিতে। ইংল্যান্ডের দেওয়া ৪০৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে তিনি করেন অপরাজিত ১৭৩ রান।

এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ২৯তম ও শেষ শতক।
ব্রায়ান ল্যাংফোর্ডের অনন্য বোলিং (১৯৬৯)
সমারসেটের হয়ে খেলতে গিয়ে ব্রায়ান ল্যাংফোর্ড একদিনের ম্যাচে ৮ ওভার বোলিং করে কোনো রান।
কোনো উইকেট ও কোনো অতিরিক্ত রান না দিয়ে শেষ করেন (৮-৮-০-০)। একদিনের ক্রিকেটে এটি এক অনন্য রেকর্ড।
কেনিয়ার কলিন্স ওবুয়ার জন্ম (১৯৮১)
২০০৩ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আলোচনায় আসেন কেনিয়ার লেগস্পিনার কলিন্স ওবুয়া। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে দলকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দেন।
পরে ব্যাটার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন এবং ২০১১ বিশ্বকাপে ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
রেকর্ড পার্টনারশিপ ও দ্রুত সেঞ্চুরি (১৯৭৪ ও ১৯৯০)
১৯৭৪ সালে ওয়ারউইকশায়ারের রোহন কানহাই ও জন জেমসনের মধ্যে হয় ৪৬৫ রানের জুটি—একদিনেই। ১৯৯০ সালে টম মুডি মাত্র ২৬ মিনিটে শতক হাকান গ্ল্যামরগানের বিপক্ষে।
এই দিনটির বিভিন্ন ঘটনা কেবল পরিসংখ্যান নয়, বরং ক্রিকেটের গৌরবময় ইতিহাসের স্বাক্ষর। যারা খেলেছেন, তারা হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার প্রতীক।

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন