ইতিহাদে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৩-০ গোলে পরাজয়ের পর রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লিভারপুল ম্যানেজার আর্নে স্লট।
ম্যাচজুড়ে সিটির আধিপত্য স্পষ্ট থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে প্রথমার্ধে ভার্জিল ভ্যান ডাইক-এর বাতিল হওয়া হেড গোল—যা ম্যাচের গতি প্রভাবিত করেছে বলে দাবি লিভারপুল শিবিরের।
প্রথমার্ধে খানিকটা বেসামাল লিভারপুল কর্নার থেকে ভ্যান ডাইকের দুর্দান্ত হেডে গোলের দেখা পায় বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু ভিএআর হস্তক্ষেপের ফলে গোলটি নাকচ করেন রেফারি।
ম্যাচ শেষে স্লট বলেন, ‘এটি স্পষ্টভাবেই ভুল সিদ্ধান্ত, অন্তত আমার মতে। রবার্টসন গোলরক্ষককে বাধা দেয়নি। এমন মুহূর্তগুলো পুরো ম্যাচের প্রবাহ বদলে দিতে পারে—যা অত্যন্ত হতাশাজনক।’
তিনি আরও অভিযোগ তোলেন সিদ্ধান্তের অসঙ্গতি নিয়ে। একই পরিস্থিতিতে গত মৌসুমে উল্ভসের বিপক্ষে সিটির একটি গোল বৈধ ধরা হয়েছিল বলে জানান তিনি—এবং উল্লেখ করেন, সেই সময় দায়িত্বে থাকা রেফারিও ছিলেন একই ব্যক্তি।
স্লটের মতে, ম্যাচের পরপরই কেউ আমাকে সেই ভিডিও দেখায়। আজ লাইনসম্যান পতাকা তুলতে ১৩ সেকেন্ড সময় নেন—স্পষ্টতই নির্দেশনা এসেছে। কিন্তু সিদ্ধান্তে ধারাবাহিকতা কোথায়?
তবে বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে ছাপিয়ে গেছে সিটির শাসনাত্মক ফুটবল। জেরেমি ডোকুর গতি ও ডানপাশে হ্যালান্ডের আগ্রাসী উপস্থিতি লিভারপুল রক্ষণে বারবার চাপ সৃষ্টি করে। হ্যালান্ড, নিকো গনসালেস ও ডোকুর তিনটি গোলেই লিভারপুল কার্যত ম্যাচের বাইরে চলে যায়।
বিখ্যাত বিশ্লেষক গ্যারি নেভিল লিভারপুলকে ‘পরাজয়কে আহ্বান করার’ মতো খেলেছে বলে মন্তব্য করেন, এবং রায় কীন একে লজ্জাজনক পারফরম্যান্স আখ্যা দেন।
এ হারের ফলে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে আরও পিছিয়ে পড়েছে লিভারপুল। শীর্ষস্থানীয় আর্সেনালের থেকে এখন আট পয়েন্ট দূরে তারা। পিছিয়ে পড়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছেও। মৌসুমের শুরুতে ভক্তদের যে আশা ছিল, তা এখন তীব্র চাপের মুখে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন