শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ০৫:১৪ এএম

সাবেক ডিআইজি নুরুল কোথায় 

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ০৫:১৪ এএম

সাবেক ডিআইজি নুরুল কোথায় 

ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম একাধিক হত্যা মামলার আসামি হয়েও গত ৯ মাসে গ্রেপ্তার হননি। ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকে ঢাকা রেঞ্জ থেকে বদলি করে রাজশাহীর সারদায় সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু কাজে যোগদান না করলেও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

দীর্ঘদিন কর্মস্থলে যোগদান না করলেও পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার চাকরি রয়েছে কীভাবে, সেই প্রশ্ন উঠছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যার নির্দেশদাতা হয়েও ডিআইজি নুরুলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সূত্র মতে, সৈয়দ নুরুল এখনো দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে শেল্টার দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও পুলিশের ক্ষমতাশালীরা। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তাকে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে সুযোগ খুঁজছে।

সূত্র জানায়, ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম গত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকার আমলের গত দেড় দশকে পুরো পুলিশ বাহিনীতে বিভাজন সৃষ্টির অন্যতম কারিগর ছিলেন। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ও আশীর্বাদপুষ্ট পুলিশ লীগ সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্য নুরুল ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বাহিনীর সুনাম নষ্ট করেছেন।

ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা নির্লজ্জ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তার মধ্যে ডিআইজি নুরুল অন্যতম। বিনিময়ে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। পরিবারের সদস্যদেরকেও ক্ষমতাবান করার পাশাপাশি তাদের নামে কালো টাকার সম্পদ গড়েছেন। বাহিনীতে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হওয়া নুরুল চাকরিতে অনুপস্থিত থেকেও পুলিশ বাহিনী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে নুরুল জুজু এখনো বহাল।

ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় হুকুমদাতা তৎকালীন ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম। ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হয়েও এখনো বহাল আছেন তিনি। পুলিশ বাহিনীতে চাকরিও করে যাচ্ছেন।

ছাত্রলীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি গত দেড় দশকে গুম, খুন এবং নির্যাতনে জড়িত ছিলেন। তিনি নিজ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসপি লীগের প্রতিষ্ঠা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। প্রভাব খাটিয়ে নিজের দুই ভাইকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন। নুরুল এবং তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। নুরুল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ঘুষ, জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুল ইসলাম জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার সবকটি থানার পুলিশকে সরাসরি গুলির নির্দেশদাতা ছিলেন। বর্তমানে তাকে রাজশাহীর সারদায় বদলি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তৎকালীন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের সরাসরি নির্দেশে আন্দোলনে গুলি চালানো ও লাশ পোড়ানো হয়েছে।

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ভ্যানে নিথর দেহের স্তূপ ও পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তুলে পোড়ানোর মাস্টারমাইন্ড ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে গোয়েন্দাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে এমন দাবি করেছেন। গুলি করে হত্যা এবং লাশ পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশদাতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এসপি কাফী দাবি করেছেন, ডিআইজি নুরুল স্যার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন।

সরকারপ্রধানের আদেশের কথা বলে তিনি আমার এবং আমার অধীনস্থদের ডাইরেক্ট অ্যাকশনে যেতে বলেন। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের অধীনে থেকে এসপির কাছ থেকে নির্দেশ না নিয়ে কেন ডিআইজি নুরুলের নির্দেশ নেওয়া হলোÑ এমন প্রশ্নে কাফী নিশ্চুপ ছিল। তবে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের বড় ভাই হিসেবে ডিআইজি নুরুলকে গুরু মানতেন কাফী, গুরুর মদদে এত দিন প্রভাব দেখিয়ে এসেছেন তিনি।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সৈয়দ নুরুল ইসলাম ছিলেন সরকারের বিশেষ আস্থাভাজন। তিনিসহ অনুগত অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা নানাভাবে অনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন নুরুল ইসলাম। নুরুলের মতো ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশে এসেও ‘পুলিশ লীগ’ গঠন করেছিলেন।

মূলত তারাই আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বাহিনী পরিচালনা করতেন। আলোচিত অনেক পুলিশ কর্মকর্তার বেশির ভাগকেই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তবে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বর্তমান সরকার বা পুলিশ বাহিনী। নুরুল ডিএমপির রমনা, মতিঝিল ও ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার এবং নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার পুলিশ সুপার ছিলেন।

অভিযোগ আছে, ২০১৪ সালে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে চাকরি করার সময় থেকে সৈয়দ নুরুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনে তার সমর্থিত একটি পক্ষ তৈরি করে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেন। নিজের দুই ভাইকে জনপ্রতিনিধি বানান তিনি। জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসপি লীগ নামে আলাদা একটি দল করে আলোচনায় আসেন। সে সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমি দলপাগল টাইপের মানুষ। দলকে ভালোবাসি বিধায় দলীয় লোকজনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে।’

চাঁপাইয়ের সন্ত্রাসীদের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ডিআইজি নুরুল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় জেলার বাসিন্দারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে আতঙ্কের নাম ছিল কথিত ‘এসপি লীগ’। এই এসপি লীগের আনাগোনা ছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের। আর দূর থেকে এই এসপি লীগের সব ধরনের কার্যক্রম চোখে চোখে রাখতেন ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম। ছিল নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীও।

ডিআইজি নুরুলসহ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞে সরাসরি জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা নেই। গণঅভ্যুত্থানে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর পলাতক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের খোঁজ মিলছে না।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের গ্রেপ্তারের কতটুকু আন্তরিক সেই প্রশ্নও উঠছে। যদিও পুলিশ সদর থেকে বলা হয়েছে, দুজন সাবেক আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরও শতাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তারের তালিকায় রয়েছেন। তাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক পুলিশ সদস্যের নাম এসেছে। এর মধ্যে শতাধিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি তালিকা করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে পুলিশ দপ্তর বলছে, তালিকা ধরে মামলার আসামি ওইসব পুলিশ সদস্যের অপরাধে যুক্ত থাকার বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সম্পৃক্ততা পেলেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে পর্যায়ক্রমে সব পুলিশ সদস্যকেই গ্রেপ্তার করা হবে। এমনকি ৫ আগস্টের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও রয়েছে এ তালিকায়। তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়া হবে। মামলার আসামি হলেও সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলে বাহিনীর অন্য সদস্যদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব তৈরির আশঙ্কা থাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বাহিনীর নীতিনির্ধারকরা। 

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, শুধু পুলিশ সদস্য নয়, জুলাই-আগস্ট হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় যাদের যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে, তাদের তদন্তের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অপরাধে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনের চোখে সবাই সমান। পুলিশ সদস্য হলেও বাড়তি কোনো সুযোগ কেউই পাবে না। অপরাধী যে-ই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বাহিনী বদ্ধপরিকর।

নুরুলের ঝড়ো উত্থান: ২০১৫ সালে নুরুল ইসলাম ঢাকা দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ছিলেন। এ সময় তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ৬৮ বিঘা দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করেন। তার পর থেকেই আলোচনায় আসেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এর পর থেকে তার চোখ পড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে। পুলিশে চাকরির সুবাদে সরাসরি তিনি রাজনীতির মাঠে না থাকলেও তার পরিবারের সদস্যদের সুযোগ করে দেন। এসব নিয়ে সাংবাদিকদের লেখাও ছিল বারণ। কারণ গণমাধ্যমকর্মীদের চাপে রাখত নুরুলের সন্ত্রাসী বাহিনী। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নুরুল ইসলামের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী ৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এসব মামলায় তার মতের বিরোধিতাকারীদের ‘ফাঁসানো’ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

ক্ষমতার জোরে দুই ভাইকে বানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি: নুরুল ইসলামের আপন দুই ভাই নজরুল ইসলাম ও মুনিরুল ইসলাম। নজরুল শিবগঞ্জ উপজেলার একটি কলেজের প্রভাষক ছিলেন। একই সঙ্গে ইটভাটা ব্যবসায়ী। আরেক ভাই মুনিরুল পেশায় ছিলেন ঠিকাদার। ক্ষমতার জোরে নুরুল তার ভাই নজরুলকে উপজেলা পরিষদের চেয়্যারমান বানান।

নজরুল নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অথচ তিনি (নজরুল) ছিলেন শিবগঞ্জ পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের বিএনপির সদস্য। তারপরও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাদের বাদ দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আপন ভাইকে নৌকা প্রতীক পাইয়ে চেয়ারম্যান বানান নুরুল। পরবর্তী সময়ে তার ভাইকে বানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এদিকে তার আরেক ভাই মুনিরুলকে বানিয়েছেন শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র। এই নির্বাচনেও ছিল পুলিশের প্রভাবÑ এমনই দাবি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!