শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে বাংলাদেশ পেসারদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও, দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদের বোলিং কিছুটা নিষ্প্রভ ছিল, যা শান্ত নিজেও স্বীকার করেছেন। তবে একইসঙ্গে তিনি কন্ডিশনের প্রতিকূলতাকেও দুষছেন।
আমার মনে হয়, পেস বোলাররা আরেকটু বেটার বোলিং করতে পারত, বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে। তবে এটাও ঠিক, কন্ডিশন ওদের পক্ষে ছিল না, বলেন শান্ত ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে মূল ভরসা ছিলেন স্পিনার নাঈম হাসান, যিনি লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে ভাঙন ধরান।
পেসারদের অবদান সীমিত হলেও শান্ত তাদের সাম্প্রতিক ধারাবাহিকতা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, আমরা জানি, গত কয়েক ম্যাচ ধরে ওরা ভালো বল করেছে। একটা ম্যাচ খারাপ হতেই পারে।
শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিং নিয়েও বাস্তবতানির্ভর দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই ছিলেন ব্যর্থ। তবে তার ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না শান্ত।
‘বিজয় ভাই অনেকদিন পর এসেছেন, মাত্র দুইটা টেস্ট খেলেছেন। তাকে আরও সময় দিতে হবে’, বলেন তিনি।
তিনি আরও যোগ করেন, আমি তার ওপর বিশ্বাস রাখি। আমি আশা করি, সে ভালো কিছুই করবে। তার এই কয়েকটি ইনিংস নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত নই। কারণ আমরা জানি, বিজয় ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে কীভাবে পারফর্ম করে।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের সংস্কৃতিতে দীর্ঘদিন ধরেই খেলোয়াড় বদলের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত দেখা গেছে। শান্তর নেতৃত্বে সেই প্রবণতা বদলানোর ইঙ্গিতই যেন স্পষ্ট।
তার মতে, টেস্ট দলে সাফল্য পেতে হলে খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত সময়, আস্থা এবং সুযোগ দেওয়া জরুরি।
ফল যাই হোক না কেন, গল টেস্ট যেন আরেকবার প্রমাণ করল- শান্তর নেতৃত্বে ধৈর্য, আস্থা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে একটি টেস্ট দল গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। পেসারদের ঘুরে দাঁড়ানো হোক কিংবা বিজয়ের ব্যাটে প্রত্যাবর্তন-এই প্রক্রিয়ায় সময়ই হতে পারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ।