দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার পর অবশেষে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ ক্রিকেট নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এই মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে।
সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কের নিয়মিত বিজ্ঞাপন প্রচার এবং ক্রিকবাজে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্ট সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হতে পারে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত কিছুটা স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসার পরেই এই ইতিবাচক খবর পাওয়া গেল।
সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক তাদের এশিয়া কাপের বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন, ভারতের সূর্যকুমার যাদব এবং শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কাকে দেখাচ্ছে।
যা টুর্নামেন্ট আয়োজনের সবুজ সংকেত পাওয়ারই ইঙ্গিত দেয়। ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আসরে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অংশ নেবে।
যদিও ২০২৪ এসিসি প্রিমিয়ার কাপের রানার্সআপ ওমান এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী হংকংয়েরও অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী তারা এবারের আসরে থাকছে না।
হাইব্রিড মডেল এবং সম্ভাব্য ভেন্যু
এবারের এশিয়া কাপও ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ এবং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজন করা হতে পারে।
মূলত ভারতের নাম আয়োজক হিসেবে থাকলেও যদি হাইব্রিড মডেলটি চূড়ান্ত হয়, তাহলে ভারতের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ডিসেম্বরে বিসিসিআই এবং পিসিবির মধ্যে একে অপরের দেশে দল না পাঠানোর যে সমঝোতা হয়েছে, তারই ভিত্তিতে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো আমিরাতে সরে যেতে পারে।
আর্থিক দিক এবং চূড়ান্ত ঘোষণা
ক্রিকবাজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার (৪৬৩ কোটি টাকা) খরচ হবে।
এই খরচের বেশির ভাগই আসবে সম্প্রচারস্বত্ব থেকে, যার ৭৫ শতাংশ রাজস্ব এসিসির পাঁচ স্থায়ী সদস্য বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেওয়ার কথা।
যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
এসিসি আশা করছে, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সভা ডেকে ছয় দলের এশিয়া কাপের সূচি চূড়ান্ত করা যাবে এবং আগামী ১০ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এই মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে।