শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট ও ওডিআই সিরিজ হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিল লিটন দাসের দল। সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।
তামিমের ৪৭ বলে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংসে ৮ উইকেট ও ২১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
আজ বুধবার ( ১৬ জুলাই) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক আসালঙ্কা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার—মাত্র ৫ বলেই তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪ রান। তারপর থেকেই শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়।
ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন দারুণ ফর্মে থাকা কুশল। দলীয় ১৪ রানের মাথায় শরিফুলের বলে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস।
মেন্ডিস ফেরার ৪ বল পর আবারও উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৯ রানের মাথায় মেহেদীর বলে কুশল পেরেরাকে হারিয়ে চাপে পড়ে আসালঙ্কার দল।
এরপর আর ব্যাট হাতে নিজেদেরকে ফিরে পায়নি লঙ্কানরা।
পাথুম নিসাঙ্কার ৩৯ বলে ৪ চারে ৪৬ রান ও দাসুন শানাকা ২৫ বলে ৩৫ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশর হয়ে বল হাতে এ দিন খরুচে বল করেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। ৪ ওভারে ৫০ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ১ উইকেট।
শেখ মেহেদীর ৪ উইকেট ছাড়াও ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
১৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারান বাংলাদেশ। প্রথম বলে উইকেট হারালে আবারও শঙ্কা জাগে পুরোনো রোগের। আজও কি সহজ ম্যাচ হেরে বসবে বাংলাদেশ।
তবে এ দিন আর পথ হারায়নি বাংলাদেশ—টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ও তানজিদের তামিমের ৭৪ রানের জুটিতে ম্যাচ সহজ করে ফেলে বাংলাদেশ।
দলীয় ৭৪ রানের মাথায় লিটস দাস আউট হলেও একপাশ আগলে রেখে দলকে জয় এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম।
বাংলাদেশের হয়ে আজ ব্যাট হাতে তানজিদ হাসান তামিম ৪৭ বলে ৭৩ রান, তাওহীদ হৃদয় ২৫ বলে ২৭ রান, লিটন কুমার দাস ২৬ বলে ৩২ রান সংগ্রহ করেন।
তামিমের ব্যাটে ও মেহেদীর বোলিংয়ে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে তদের মাটিতে হারিয়ে প্রথমবারের মত সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।