কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে চলমান ম্যাক্স৬০ টি১০ লিগে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এই লিগে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার এবং ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলসের মতো আন্তর্জাতিক তারকারা অংশ নিচ্ছেন।
তবে খেলোয়াড়দের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় তারা মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, যার ফলে গত মঙ্গলবার একদিনেই পাঁচটি ম্যাচ বাতিল হয়ে গেছে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর অনুযায়ী, প্রতিযোগিতা শুরুর অন্তত ৩০ দিন আগেই বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে তাদের চুক্তির টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল।
কিন্তু আয়োজকরা সেই টাকা এখনো পর্যন্ত দেননি। তাই বকেয়া পাওনার দাবিতে খেলোয়াড়রা ধর্মঘট শুরু করেছেন এবং খেলতে অস্বীকার করেছেন।
এই লিগে ‘মিয়ামি ব্লেজ’ দলের অধিনায়কত্ব করছিলেন সাকিব আল হাসান। সমস্যা শুরু হওয়ার আগে তিনি ব্যাট ও বল হাতে দারুণ ফর্মে ছিলেন।
ছয় ম্যাচে তিনি ১৫৭.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৫২ রান করেন, যেখানে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৩। বল হাতেও সাকিব তার সক্ষমতা দেখিয়েছেন, ৫টি উইকেট নিয়েছেন এবং সেরা বোলিং ফিগার ছিল ১১ রানে ২ উইকেট।
তার ইকোনমি রেট ছিল ৮.৪৬। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বে মিয়ামি ব্লেজ পয়েন্ট টেবিলের ভালো অবস্থানে ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এ টুর্নামেন্টটি পরিচালনা করছে দুবাইভিত্তিক সংস্থা বিএমপি স্পোর্টস। এই সংস্থাটি টুর্নামেন্ট নিয়ে রহস্যময় আচরণ করছে। তারা প্রথমে ঘোষণা দিয়েছিল যে ফাইনাল ম্যাচ হবে ‘ক্যারিবিয়ান টাইগার্স’ এবং ‘ভেগাস ভাইকিংস’-এর মধ্যে, যদিও তখনও অনেকগুলো ম্যাচ বাকি ছিল।
পরে সেই পোস্ট তারা সরিয়ে নেয় এবং পঞ্চম স্থানে থাকা ‘গ্র্যান্ড কেম্যান ফ্যালকনস’-কে নিয়ে এক ধরনের ‘রানার-আপ প্লে-অফ’ আয়োজনের কথা জানায়। এই ঘটনাগুলো পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে।
খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউসিএ)। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, চুক্তিগুলোকে আয়োজকেরা যেন কাগজের টুকরো মনে করছে।
তারা আরও উল্লেখ করেছে, আইসিসি অনুমোদিত ইভেন্টে খেলোয়াড়দের জন্য আরও শক্তিশালী সুরক্ষা দরকার। এখন পর্যন্ত আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিএমপি স্পোর্টস এই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি বা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :