ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫

বিসিবির নির্বাচনে কে হবেন পূর্ণ মেয়াদের সভাপতি?

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ ঘিরে আবারও নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সাবেক জাতীয় দলের সফল অধিনায়ক ফারুক আহমেদের স্বপ্ন যেখানে অধরাই রয়ে গিয়েছিল, সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে দায়িত্ব পাওয়া আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবার পূর্ণ মেয়াদের সভাপতি হওয়ার পথে হাঁটতে পারেন বলে জানা গেছে।

কয়েকদিন আগেও শোনা গিয়েছিল যে বুলবুল নির্বাচন করতে আগ্রহী নন। কিন্তু পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। আগামী অক্টোবরে যদি বিসিবি নির্বাচন হয় তাহলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কোটায় পরিচালক পদে তার থাকা প্রায় নিশ্চিত। 

যেহেতু এই নির্বাচন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেই হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে, সে হিসেবে সরকারের সমর্থন বুলবুলের দিকেই থাকবে, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

তবে প্রশ্ন উঠছে, দীর্ঘদিন দেশের ক্রিকেটের মূল স্রোতের বাইরে থাকা বুলবুলকে কি বর্তমান পরিচালকরা পূর্ণ মেয়াদের সভাপতি হিসেবে মেনে নেবেন? যদিও অনেকেই তাকে বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে।

যেমন প্রধান নির্বাহী বা প্রধান টেকনিক্যাল উপদেষ্টা হিসেবে রাখতে আগ্রহী, কিন্তু সভাপতি পদে তার পক্ষে এখনও সর্বসম্মত সমর্থন মেলেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিচালক জানিয়েছেন, আইসিসিতে দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় বুলবুলের ক্রিকেট প্রশাসন এবং ব্যবস্থাপনার দক্ষতা অসাধারণ। 

ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়নসহ বোর্ডের পরিচালনায় তার জ্ঞান কাজে লাগানোর পক্ষে তারা। কিন্তু সভাপতি পদে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কোনো সরাসরি উত্তর দেননি তারা।

এখানে মূল ফ্যাক্টর হলো এনএসসির ভূমিকা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চাইছে, অক্টোবরের নির্বাচনে তাদের মনোনীত প্রার্থীকেই বিসিবি সভাপতি হিসেবে দেখতে। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই ‘ফার্স্ট চয়েজ’ হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। 

বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এনএসসি পরিচালক হিসেবে যাকে মনোনীত করবে, তিনি বাকি নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে সভাপতি হলে, তাকে সরকারের হস্তক্ষেপ বলা যাবে না।

বুলবুল নিজেও এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সূত্রের খবর, তিনি আইসিসির সঙ্গে তার সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেছেন, যা তার বিসিবিতে দীর্ঘমেয়াদি থাকার আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। যদিও তিনি এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি এবং সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছেন।

তবে এখানে একটি বড় প্রশ্ন থেকেই যায়। যদি বুলবুল অক্টোবরের নির্বাচনে সভাপতি হয়েও আসেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হলে তিনি কি সেই পদে থাকতে পারবেন? 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখা গেছে, ক্ষমতায় থাকা দলের মনোনীত ব্যক্তিরাই সাধারণত বিসিবি সভাপতির পদে থাকেন।