ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। কিন্তু বিভিন্ন অভিযোগের কারণে শাসনামলের মাত্র ৯ মাসের মাথায় তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে কী কারণে ফারুককে সরানো হয়েছে- সে বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

আসিফ মাহমুদের ভাষ্যমতে, ব্যক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া এবং স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

নিউইয়র্কভিত্তিক ঠিকানা টিভির একটি টকশোতে আসিফ মাহমুদ বলেন, ফারুক আহমেদ ক্রিকেটের উন্নয়নের চেয়ে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং ব্যবসায়িক লাভের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছিলেন। তার এই আচরণের কারণেই তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ফারুক আহমেদকে অপসারণের পেছনে কিছু কারণ ছিল।

স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘন: বিসিবিতে ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে ৮ জন পরিচালক ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন যে, তিনি স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছেন এবং গঠনতন্ত্র মেনে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।

বিপিএলের অব্যবস্থাপনা: গত বিপিএল আয়োজনে ফারুক আহমেদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে গঠিত একটি তথ্য অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টও তাকে সরানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। 

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল যে, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের দল পরিচালনার জন্য যে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা পর্যাপ্ত দক্ষ নয়। 

শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, সেই দলগুলো দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দিতে ব্যর্থ হয়, যা দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করে।

ব্যক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য: আসিফ মাহমুদ অভিযোগ করেন, ফারুক আহমেদ ক্রিকেটের উন্নতির চেয়ে পরবর্তী বিসিবি নির্বাচনে জয়ের জন্য ক্লাবগুলোকে নিজের পক্ষে টানতে এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ পূরণে বেশি আগ্রহী ছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, মন্ত্রণালয় গঠনতন্ত্র মেনেই ফারুক আহমেদকে অপসারণ করেছে। যেহেতু তিনি ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের (এনএসসি) কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন, তাই মন্ত্রণালয় চাইলে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারে। 

অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় সেই পদক্ষেপই নেয় এবং ফারুক আহমেদের জায়গায় নতুন একজনকে মনোনয়ন দেয়, যিনি বর্তমানে বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে আছেন।