বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে এখন সরব ক্রিকেট পাড়া। ক্রিকেটভক্তদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। আসন্ন এই নির্বাচনে এক নতুন মোড় নিয়ে এসেছেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তিনি শুধু পরিচালক পদে নয়, সরাসরি সভাপতি পদে লড়তে চান। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তিনি ঢাকার প্রভাবশালী ক্লাব কর্তাদের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন।
ক্রিকেট মাঠে আগ্রাসী ওপেনার হিসেবে পরিচিত তামিম ইকবালের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রশাসনে একটি নতুন ধারার সূচনা করতে পারে। সাধারণত, সাবেক ক্রিকেটাররা প্রথমে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে পরে বোর্ড সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করেন।
আরও জানা যায়, বসুন্ধরা গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ক্লাবের সমর্থন তিনি ইতিমধ্যেই পেয়েছেন, যা তাকে সভাপতির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। এর পাশাপাশি, কাউন্সিলর হিসেবে তার অবস্থান তাকে পরিচালক হওয়ার সুযোগও দিচ্ছে।
সভাপতি পদে তামিমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সামনে আসতে পারেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ক্রীড়া পরিষদের কোটা থাকায় পরিচালক পদে তার লড়াইয়ের কোনো দুশ্চিন্তা নেই।
তবে পরিচালকদের পূর্ণ সমর্থন না পেলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতেও পারেন। এটি বুলবুলের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা হতে পারে, কারণ বর্তমান পরিচালকদের অনেকেই নতুন নেতৃত্বের পক্ষে চলে যেতে পারেন।
এ ছাড়াও, সভাপতি পদের আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। যদিও অতীত অভিজ্ঞতা এবং ভোটভিত্তিক সমর্থন বিবেচনায় তিনি তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে।
বিসিবির নির্বাচন কেবল ক্রিকেটীয় হিসাব-নিকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেশের জাতীয় রাজনীতির সমীকরণও। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বদল হলে বোর্ড সভাপতির পদেও পরিবর্তন আসতে পারে।
সেক্ষেত্রে রাজনীতির বাইরের মানুষ হিসেবে পরিচিত আমিনুল ইসলাম বুলবুলের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হতে পারে।