বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম, রিকশা চালানো, সবজি বিক্রি আর রংমিস্ত্রির ঘামে দেশের তারকা ক্রিকেটার হয়েছেন তার ছেলে। ছেলে আজ লাখ লাখ পাচ্ছেন ম্যাচ ফি, আর বাবা সংসার চালাতে মাসে মাত্র ৮ হাজার টাকা বেতনে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের বাবা আক্কাস আলীর এই করুণ পরিণতি স্থানীয়দের মনেও গভীর বেদনা জাগিয়েছে।
জানা গেছে, আক্কাস আলী বর্তমানে সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেটে একজন নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। জীবনের এই পর্যায়ে এসেও জীবিকার তাগিদে তাকে এই কাজ করতে হচ্ছে।
কারণ তার তারকা ছেলে নাসুমের সঙ্গে তার সম্পর্ক এখন প্রায় বিচ্ছিন্ন। স্থানীয়রা বলছেন, নাসুম আহমেদ বিয়ে করার পর থেকেই এই দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় জালালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, নাসুমের বাবা আক্কাস আলী নিজের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে তাকে বড় করেছেন। অথচ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর তার মা মারা গেলে নাসুম বাবার থেকে আলাদা হয়ে যায়।
নাসুমের চাচা লুবন মিয়াও এই পরিবর্তন দেখে হতাশ। তিনি বলেন, আমাদের ভাতিজা খুব আদরের ছিল। কিন্তু বিয়ের পর ওর এমন পরিবর্তন কেন হলো, তা আমরা বুঝতে পারছি না।
তবে, এত কষ্টের মাঝেও বাবা আক্কাস আলীর কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি শুধু চান তার ছেলে নাসুম আরও বড় হোক। আক্কাস আলী বলেন, আমি একজন বাবা হিসেবে শুধু চাই নাসুম বড় কিছু হোক। নিজের জন্য আলাদা কিছু চাইনি, চাই না।
অন্যদিকে, নাসুম আহমেদ বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি। উনি আমাদের সঙ্গে থাকেন না, তাই আলাদা থাকেন। মাসে মাসে আমি টাকার একটা অ্যামাউন্ট দেই। তবে উনি কী করবেন, সেটা ওনার সিদ্ধান্ত।