সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের নতুন আসর। আটটি দলের অংশগ্রহণে এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার মহারণ।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হবে, যা ঘিরে ক্রিকেট বিশ্বে এখন থেকেই উত্তেজনা তুঙ্গে।
এবারের আসরে দলগুলোকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। অন্যদিকে, গ্রুপ ‘বি’-তে আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও হংকং।
উদ্বোধনী ম্যাচে আবুধাবিতে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বের শীর্ষ চারটি দল উঠবে সুপার ফোরে, যার পর হবে ফাইনাল। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে।
সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার পর ভারত ও পাকিস্তানের এই ম্যাচটি শুধু ক্রিকেটীয় লড়াইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। বরং এটি দুই দেশের সমর্থকদের আবেগ, ইতিহাস ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।
গত মে মাসে দুই দেশের মধ্যে চার দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম এরই মধ্যে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের সতর্ক করে বলেছেন, মাঠে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে এবং কোনোভাবেই সীমা অতিক্রম করা যাবে না।
২০১২ সালের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়নি। সমঝোতা চুক্তির কারণে কেবল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেই তাদের দেখা হয়।
এই আসরে তারা একই গ্রুপে থাকায় অন্তত একবার তো খেলবেই, আর টুর্নামেন্টের ফলাফল অনুযায়ী তিনবারও মুখোমুখি হতে পারে।
তবে মাঠের পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে ভারত বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, তারা পাকিস্তানের চেয়ে বেশ এগিয়ে।
এই আসরে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন সূর্যকুমার যাদব। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ১০-৩ জয়ের রেকর্ড তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেবে।
তবে পাকিস্তান তাদের দুই তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ছাড়াই মাঠে নামবে, কারণ ফর্মহীনতার কারণে তারা এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাননি।
যদিও দুই দলের অতীত ইতিহাস বলে, এই ধরনের ম্যাচে পরিসংখ্যানের চেয়ে স্নায়ুযুদ্ধই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভারত এবারও শিরোপার অন্যতম প্রধান দাবিদার। তবে এশিয়া কাপে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলো যেকোনো সময় চমক দেখাতে পারে, যা টুর্নামেন্টকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলবে।