হ্যাগলি ওভালে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী মেজাজ দেখাল ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট ও হ্যারি ব্রুকের তাণ্ডবে প্রথমে ব্যাট করে টি-টোয়েন্টিতে মাঠের নতুন রেকর্ড গড়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
সোমবার ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হয়ে ফেরে।
ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সামনে কিউই বোলাররা দাঁড়াতেই পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ইংল্যান্ড ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৩৬ রানের বিশাল সংগ্রহ, যা হ্যাগলি ওভালে টি-টোয়েন্টির নতুন রেকর্ড।
ইংল্যান্ডের ইনিংসের মূল কারিগর ফিল সল্ট ও হ্যারি ব্রুক। ওপেনার সল্ট ৫৬ বলে ৮৫ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে, ব্রুক আরও বেশি আগ্রাসী ছিলেন, মাত্র ৩৫ বলে ৭৮ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
এই দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে ৬৯ বলে ১২৯ রানের এক বিধ্বংসী জুটি গড়েন, যা নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয়। শেষ দিকে টম বেন্টনও ১২ বলে অপরাজিত ২৯ রান করে দলের স্কোরকে রেকর্ডের চূড়ায় নিয়ে যান।
২৩৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। পেসার ব্রাইডন কার্সের জোড়া আঘাতে দ্বিতীয় ওভারেই ব্যাকফুটে চলে যায় কিউইরা। এরপর টিম সাইফার্ট ও মার্ক চ্যাপম্যান মিলে ৬৯ রানের একটি প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও, ইংল্যান্ডের স্পিনার আদিল রশিদ ও লিয়াম ডসনের ঘূর্ণিতে রান তোলার গতি হারায় কিউইরা।
শেষ দিকে অধিনায়ক স্যান্টনার ১৫ বলে ৩৬ রানের একটি সংক্ষিপ্ত ঝড় তোলার চেষ্টা করলেও, আদিল রশিদের শিকার হয়ে সেই আশাও শেষ হয়। নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভার বাকি থাকতেই ১৭১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন আদিল রশিদ, ৪ ওভারে মাত্র ৩২ রান দিয়ে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া লুক উড শেষ দিকে দ্রুত দুটি উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন।